কুষ্টিয়ায় আলোচিত ঘটনা মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামকে হত্যা ও লাশ গুম করার অভিযোগে তিনজনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
অন্যদিকে, হত্যার সঙ্গে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় তিনজনকে এই মামলার দায় থেকে খালাস দেন। বিকেলে অতিরিক্ত দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. তাজুল ইসলাম এ রায় ঘোষণা করেন। তবে আসামিরা আদালতে হাজিরার দরখাস্ত জমা দিলেও কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন না।
দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কুষ্টিয়া সদর উপজেলার দহকুলা নওয়াপাড়া গ্রামের পিয়ার আলীর ছেলে শহিদুল ইসলাম ওরফে শহিদ মেম্বার, ভবানীপুর গ্রামের ওমর আলীর ছেলে চান্নু মজিবর রহমানের ছেলে বাক্কার ওরফে বক্কর।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০৬ সালে নিহত মাছ ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম ও প্রতিবেশী নামদার সোর্স হিসেবে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজনদের সঙ্গে মাঝে মধ্যে চলাচলের কারণে এলাকার সন্ত্রাসী সাদ্দাম বাহিনী নামক সদস্যরা সন্দেহ করা হয়েছে।
মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা এস এম সহিদুল ইসলাম আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। এরপর আদালত এ মামলায় ৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য-প্রমাণ শেষে ২২ মে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করেন। আজ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাড. অনুপ কুমার নন্দী বলেন, আলোচিত শহিদুল বাড়ির প্রতিবেশী নামদারকে অহপরণ করে নিয়ে যায় নির্জনস্থানে নিয়ে গিয়ে হত্যার পর আসামি চান্নুর বাড়ির খাটের নিচে রেখে দিয়েছিল।