ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে দুটি ইউনিয়নের অন্তত ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। এ ছাড়া প্লাবিত হয়েছে বিস্তীর্ণ এলাকা। এতে বন্যার কবলে পড়েছেন অন্তত ১০টি গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ।
শনিবার (১৮ জুন) ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার সীমান্তবর্তী মনিয়ন্দ ইউনিয়নের কর্নেল বাজার-সংলগ্ন আইড়ল এলাকায় হাওড়া নদীর বাঁধ ভেঙেছে বলে নিশ্চিত করেছেন মনিয়ন্দ ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী দীপক।
তিনি জানান, পানির প্রবল তোড়ে বাঁধ-সংলগ্ন পিচ ঢালাই সড়কও ভেসে গেছে। পার্শ্ববর্তী মোগড়া ইউনিয়নের নিলাখাদ গ্রামসহ মনিয়ন্দ ইউনিয়নের আইড়ল, ইটনা, খারকুট, বড় লৌহঘর, ছোট লৌহঘর ও বড় গাঙ্গাইল গ্রামের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এসব গ্রামের অনেক পুকুরের মাছ পানির তোড়ে ভেসে যাওয়ায় মৎস্য চাষীরা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।
তিনি আরও জানান, হঠাৎ করে লোকালয়ে পানি প্রবেশ করায় সীমান্তবর্তী এসব গ্রামের মানুষ বিপাকে পড়েছেন। গ্রামগুলোর নিচু বাড়িঘরে পানি ঢুকে পড়ায় পানিবন্দি হয়ে পড়েছে অনেক মানুষ। দ্রুত এই ভাঙা বাঁধ মেরামত করতে না পারলে গোটা এলাকা প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
এদিকে আখাউড়া স্থলবন্দর সংলগ্ন দক্ষিণ ইউনিয়নের কালিকাপুর ও আবদুল্লাহপুর গ্রামের ৯০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় স্থানীয় আব্দুল্লাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কয়েকটি পরিবারকে আশ্রয় দেয়া হয়েছে।
বাঁধ ভেঙে যাওয়ার খবর পেয়ে শনিবার সকালে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা এবং স্থানীয় মনিয়ন্দ ইউপি চেয়ারম্যান দীপক চৌধুরী ভাঙন এলাকাসহ পানিতে তলিয়ে যাওয়া গ্রামগুলো পরিদর্শন করেছেন।
আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগ্যজাই মারমা বলেন, আকস্মিক এ বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে প্রস্তুতি নিয়েছে। স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের প্রকৌশলীরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাৎক্ষণিক কী ব্যবস্থা নেওয়া যায় তারা এটি দেখছেন।