ঢাকাবুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

জাল ছাড়পত্র ব্যবহার করে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করলেন প্রধান শিক্ষক

কুমিল্লা (স্টাফ রিপোর্টার), আরটিভি নিউজ

মঙ্গলবার, ০৫ জুলাই ২০২২ , ১২:৪২ পিএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক, একইসঙ্গে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অভিজ্ঞতা গোপন করে নিয়োগ নিয়ে অবৈধ এমপিওভুক্তিতে সরকারের প্রায় ৩০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছেন এক শিক্ষক। সম্প্রতি এসব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিধিমোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন কুমিল্লা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড।

বিজ্ঞাপন

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সাহেবাবাদ লতিফা ইসমাইল উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. মোস্তফা ছারোয়ার খান ২০০৯ সালের ১ ডিসেম্বর ওই বিদ্যালয়ে চাকরিতে যোগদান করেন। যোগদান করার সময়ে তিনি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ১২ বছরের নির্ধারিত নিরবচ্ছিন্ন অভিজ্ঞতার কথা গোপন করেন। তাছাড়া তিনি যোগদানের অনেক পর ছাড়পত্র ও অভিজ্ঞতাপত্র প্রদান করেন। পরবর্তীতে তদন্তে যা জাল বলে প্রমাণিত হয়।

এদিকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক থাকাবস্থায় ২০১৬ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন মো. মোস্তফা ছারোয়ার খান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি আইন ও বিধিবিধান লঙ্ঘন করে সাহেবাবাদ লতিফা ইসমাইল উচ্চবিদ্যালয়েরও প্রধান শিক্ষক পদে কর্মরত থেকে সরকারি সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ও বেতন-ভাতা হাতিয়ে নেন।
 
এদিকে ইউপি থাকাকালে নানা অনিয়ম, দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাৎ ও স্বেচ্ছাচারিতামূলক কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে ইউপির গণ্যমান্য ৪৪ জন ব্যক্তি স্বাক্ষর করে দুর্নীতি দমন কমিশন ও জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন।
 
এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে ইউপি বাসিন্দাদের কাছ থেকে মনগড়া ভাবে ট্যাক্স ধার্য করে আদায়পূর্বক প্রায় ১৫ লাখ টাকা আত্মসাৎ, কাজ না করেই এলজিএসপি বরাদ্দের প্রায় ২৫ লাখ টাকা, টিআর, কাবিখা, কাবিখা বরাদ্দের ২৯ লাখ ৬০ হাজার টাকা ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিস থেকে এক শতাংশ হারে প্রাপ্ত কমিশনের প্রায় ১৮ লাখ টাকা মেম্বারদের না জানিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের হিসাব থেকে বিনা রেজুলেশনে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ করেন।

সাহেবাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ভিপি মো. মনির হোসেন চৌধুরী বলেন, দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে। বিদ্যালয়ের দুর্নীতি নিয়ে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ডের দেওয়া তদন্ত রিপোর্ট ৬ মাস ধরে চাপা রাখা হয়। এতে প্রমাণিত হয় ওই শিক্ষক দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।
 
অভিযুক্ত শিক্ষক মো. মোস্তফা ছারোয়ার খান সব অভিযোগ অস্বীকার করে আরটিভি নিউজকে বলেন, রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে অনেক তদন্ত হয়েছে। সর্বশেষ আরেকটি অভিযোগ উপজেলা চেয়ারম্যান তদন্ত না করেই আমার বিরুদ্ধে শিক্ষা বোর্ডে জমা দিয়েছে। বোর্ড থেকে তার কাছে চিঠি দিলেও তিনি হাতে পায়নি। দ্বিতীয়বার চিঠি দেওয়ার পর তিনি সমস্ত কাগজপত্র জমা দেন।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |