ঈদুল আজহার ছুটিতে ঘরমুখো মানুষ যে যেভাবে পারছেন স্বজনদের সঙ্গে ঈদ আনন্দ কাটাতে সেভাবেই বাড়ি যাচ্ছেন।
শুক্রবার (৮ জুলাই) ভোর থেকে গাজীপুরের রেলপথ ও সড়কপথগুলোতে উপচেপড়া মানুষের ভিড় দেখা গেছে। পরিবারের নারী-শিশু,বয়োবৃদ্ধদের সঙ্গে নিয়ে স্বজনদের উদ্দেশে ছুটে চলছেন শহরের কর্মজীবী মানুষ।
রেলপথে ঢাকা-মোহনগঞ্জ, ঢাকা-নেত্রকোণা, ঢাকা-ময়মনসিংহ, ঢাকা-জামালপুর এবং সড়কপথে ঢাকা-ময়মনসিংহ এবং ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক দিয়ে ঘরমুখো মানুষ নানা পরিবহনে চড়ে গন্তব্যে ছুটতে দেখা গেছে।
ট্রেনের ছাদে, গেটের হাতলে ঝুলে, মই বেয়ে ছাদে উঠে গন্তব্যে যাওয়ার সামান্য জায়গা বেছে নিতে দেখা গেছে।
সড়কপথে শুক্রবার থেকে গাড়ির চাপ যেমনি বেশি, তেমনি গাড়িতে চড়ার জন্য সড়কের বেশির ভাগ অংশ দখল করে দাঁড়িয়ে থাকা অপেক্ষমান যাত্রী যানজটের অন্যতম কারণ বলে জানিয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের সহকারী কমিশনার (উত্তর) মো. আহসানুল হক জানান, গাজীপুর মহানগর এলাকায় ৩২৩ জন ট্রাফিক সদস্য মহাসড়কের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে একসঙ্গে দায়িত্বপালন করছেন। মহাসড়কে গাড়ির চাপ আজ সকাল থেকেই বেশি। তাছাড়া গন্তব্যের উদ্দেশে ছুটে চলা মানুষজন গাড়ির জন্য সড়কের বেশির ভাগ অংশ দখল করে দাঁড়িয়ে থাকছেন। ফলে একদিকে বাড়তি গাড়ি অন্যদিকে গতিও কমে যাচ্ছে। ট্রাফিক সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছেন। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যানবাহন ও যাত্রীদের চাপ বাড়বে বলে গাড়িচালক ও ট্রাফিক বিভাগের সদস্যরা আশঙ্কা করছেন।
দুপুরের দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে রাজেন্দ্রপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ডে সড়কের উভয়পাশে তিন থেকে চার কিলোমিটার যানজট লেগে থাকতে দেখা গেছে।