পবিত্র ঈদুল আজহার দ্বিতীয় দিনেও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে কোরবানি দিয়েছে মুসল্লিরা। এই কোরবানি দিতে গিয়ে আহত হওয়ার সংখ্যা এখনো অনেক। গতকাল আহত একশত হলেও দ্বিতীয় দিন আহত হয়েছেন ৫০ এর মত। তবে কয়েকটি হাসপাতালের হিসাব যোগ করলে তা একশত ছড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হয়।
এই আহত হওয়ার পেছনে দায়ী করা হচ্ছে পশুর সঙ্গে ধস্তাধস্তিকে। পাড়ার যুবকদের সঙ্গে এ কাজে যোগ দেয় স্থানীয় শিশু-কিশোররা। মূলত কোরবানি দিতে গিয়েই বাঁধে বিপত্তি। সুস্থ্য-সবল প্রাণীর সঙ্গে পেরে উঠতে অনেকেই শেষ শক্তি ব্যয় করেন। এতে কেউ হন বিজয়ী আবার কেউ হন ধরাশায়ী। এখানেই শেষ নয়। জবাই করার পর চামড়া এবং মাংস কাটতে গিয়েও অনেকে বিপত্তি ঘটান। হাত-পা কেটে একাকার অনেকের। এ ঘটনা বেশি ঘটিয়েছে মৌসুমি কসাইরা। এর মধ্যে রয়েছেন কোরবানি দাতারা, সঙ্গে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও। ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল, শ্যামলীর জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠান (পঙ্গু হাসপাতাল) ও এর আশপাশের হাসপাতালগুলো ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত শ্যামলীর পঙ্গু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নেন সবচেয়ে বেশি। তবে তাদের অবস্থা গুরুতর না হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সবাই বাড়ি ফিরে গেছেন।
পঙ্গু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবদুল গণি মোল্লাহ বলেন, গরুর পায়ের লাথি, শিংয়ের গুঁতোয় আহত হয়েছেন অনেকে। এবার অন্যান্য দুর্ঘটনার রোগী কম। রোগীদের বেশির ভাগই এসেছে এবার কোরবানি করতে গিয়ে আহত হয়ে। হাত কাটা, পা কাটা এমন রোগী৷ কোরবানি করতে একদিনের কসাই সাজতে গিয়ে এই হাল হয়েছে রোগীদের।
গতকাল ঈদের দিন রাজধানীতে পশু কোরবানি করার ঘটনায় এবং মাংস কাটতে গিয়ে তিন শতাধিক মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।