ঢাকামঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দোকান ভাঙচুর ও জমি দখলের অভিযোগ 

নেত্রকোণা প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

শনিবার, ১৩ আগস্ট ২০২২ , ০১:৩৯ পিএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

নেত্রকোণা সদর উপজেলার ১১ নম্বর কে-গাতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আমজাদ হোসেনের বিরুদ্ধে দোকান ভাঙচুর ও ভূমি দখলের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (১২ আগস্ট) এ ঘটনায় ভুক্তভোগী পরিবার নেত্রকোণা মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। 

বিজ্ঞাপন

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,  উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয়ের (পিআইও) মাধ্যমে ইউনিয়ন পরিষদের সীমানা প্রাচীর ২০২০-২১ অর্থবছরের জুন মাসে শেষ করার কথা ছিল। কিন্তু সে কাজ গত জুন মাসে সীমানা-সংক্রান্ত জটিলতায় কাজটি বন্ধ থাকে। এদিকে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলছে টেস্ট রিলিফ (টিআর) প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান বলছে কাবিখা প্রকল্পের আওতায় কাজ করছেন। কোনো প্রকল্পের আওতায় বরাদ্দ তা নিয়ে দেখা দিয়েছে ধুম্রজাল। বাদী এ কে এম শহীদুল ইসলাম খানের বাবা ১৯৬৬ সাল থেকে ইউনিয়ন পরিষদ সংলগ্ন ২৮ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। এই জমি তাদের ভোগদখলে আছে। বাবার মৃত্যুর পর উত্তারিধকার সূত্রে ওই জায়গায় ঘর নির্মাণ করেন শহীদুল। আরএস ও এসএ খতিয়ান মোতাবেক স্বত্ব দখলীয় থাকা জমির ২৮ শতাংশ হতে দুই শতাংশ জায়গা ভুলবসত ১৯৮২ সালের রেকর্ডে ইউনিয়ন পরিষদের নামে ওঠে পড়ে। এই বিষয়টা তিনিসহ তার ভাইদের জানা ছিল না। গত জুনের প্রথম সপ্তাহের দিকে লোকজন নিয়ে দুই শতাংশ জায়গা দখল নিয়ে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করতে ব্যর্থ হন চেয়ারম্যান। দুই শতাংশ ভূমি নিয়ে সিআর মোকাদ্দমা নম্বর ৩১৫/২২ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।

বাদী আরও জানা গেছে, কোনো প্রকার নোটিশ বা অবগত না করেই চেয়ারম্যান ও তার লোকজন শুক্রবার সকাল ৭টার দিকে ভেকু দিয়ে দোকান ও বসতঘর ভেঙে দিয়েছেন। এতে তাদের ১০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। 

বিজ্ঞাপন

বিরোধপূর্ণ স্থানে কোনো প্রকল্পের জন্য প্রস্তাবনা ও প্রকল্পের মাধ্যমে কাজ করার এমন নিয়ম রয়েছে কি না এবং জুন সমাপনিতে কাজ সম্পন্ন না করে বিল দেওয়া হয়েছে কি না এসব বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, বিরোধপূর্ণ জায়গায় কেনো করবে। এ কাজের বিল ভাউচার বা টাকা দেওয়া হয় নাই। টেস্ট রিলফ (টিআর) থেকে বরাদ্দ। বন্যার কারণে অনেক প্রকল্পের কাজ পেন্ডিং আছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার হিসাবে সেই টাকা জমা আছে। যতটুকু কাজ করবে সে অনুযায়ী বিল দেওয়ার কথা জানান তিনি।

বিনা নোটিশে কারও স্থাপনা ভাঙা যায় কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, কার স্থাপনা ভেঙেছি আপনি বুঝলেন কেমনে। আলাপ আলোচনা করেই তো ভাঙছি। 

কোন প্রকল্পের আওতায় কাজ জানতে চাইলে বলেন, কাবিখা প্রকল্পের আওতায় কাজটি করা হচ্ছে বলেই এটা কি আমার হাতের টাকার দিয়ে করছি না। সরকারি প্রকল্পের কাজ যখন যেটা দিয়া করা যায় সেটা দিয়ে করছি। 

বিজ্ঞাপন

একপর্যায়ে গত অর্থ বছরে নাকি চলতি বছরের তা জিজ্ঞেস করলে  তিনি বলেন, দুই ঘন্টা পরে ফোন দিতে বলেন।

নেত্রকোণা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহমুদা আক্তার বলেন, বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |