ঢাকাশনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

নাটুয়ারপাড়া রক্ষাবাঁধে ভাঙন, গ্রামের অস্তিত্ব হুমকির মুখে

সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

শনিবার, ১৩ আগস্ট ২০২২ , ১১:৩৯ পিএম


loading/img

সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার নাটুয়ারপাড়া রক্ষাবাঁধের দক্ষিণ পাশে অস্থায়ী হাটের জায়গায় দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙন। ফলে গম, ভুট্টা, বাদাম, কলাই ও পাট ক্রয় বিক্রয় এবং এসব রাখার জন্য অস্থায়ীভাবে নির্মিত ঘরগুলো ভাঙনের কবলে পড়েছে। 

বিজ্ঞাপন

শনিবার (১৩ আগস্ট) বিকেলে সরেজমিনে এ দৃশ্য দেখা যায়। এর আগে শুক্রবার (১২ আগস্ট) থেকে শুরু হওয়া ভাঙনের কারণে এখনো অবধি ২০টি অস্থায়ী ঘর সরিয়ে নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এসব ঘরে রাখা শত শত মণ ভুট্টা, পাট, ধান ও বাদামের বস্তা সরিয়েছেন তারা। তবে ভাঙন অব্যাহত থাকলেও সিরাজগঞ্জ পাউবো’র তরফ থেকে ভাঙন রক্ষায় কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। 

জানা গেছে, কাজিপুর পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ভাড়া ও কমার উভয় সময়েই এই ভাঙন চলছে। গত এপ্রিল মাস থেকে মোট চারবার থেমে থেমে এই নাটুয়ারপাড়া রক্ষাবাঁধ ও আশপাশের এলাকায় ধস নামে। এবারের আগাম বন্যায় প্রথম ২১ এপ্রিল এই বাঁধ ও তার আশপাশের ২০০ মিটারের মধ্যে ধস নামে। তখন উপজেলা পরিষদ এবং এখানকার সংসদ সদস্য প্রকৌশলী তানভীর শাকিল জয়ের অনুরোধে পাউবো ভাঙনরোধে বস্তা ফেলে। কিন্তু নীতিমালায় নেই বলে যমুনার বামতীর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় পাউবো কোন কাজ করে না। 

বিজ্ঞাপন

ভাঙনের কারণে ব্যবসায়ী ও হাটের ইজারাদারগণ চরম অসুবিধায় পড়েছেন। কাজিপুরের সবচেয়ে বড় হাট নাটুয়ারপাড়ায় ধান. গম, ভুট্টা, বাদাম জাতীয় ফসলগুলি বেশিরভাগ পাইকারিভাবে ক্রয় বিক্রয় হয়। এতে করে অনেক জায়গার দরকার পড়ে। কিন্তু নদীর ভাঙনে প্রতিবছরেই হাটের জায়গা সঙ্কুচিত হয়ে আসছে। নাটুয়ারপাড়া বাঁধটি নির্মাণের পর তার উভয় পাশে কয়েকশ একর জমি ভাঙনের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে। আর এসব জমিতেই চলে পাইকারি সব কেনাবেচা। কিন্তু এখন ভাঙনের ফলে স্থান সংকুলান হচ্ছে না। ফলে কেনাবেচার বেশ অসুবিধা হচ্ছে। 

নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সভাপতি ও হাটের ইজারাদার আব্দুর রহিম জানান, নাটুয়ারপাড়া বাঁধ ও তার আশপাশের এলাকায় ভাঙনের কারণে চরম সমস্যায় আছি। একদিকে পুরো হাটসহ গ্রামের অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়েছে। সেই সঙ্গে হাটের বেচাকেনা করতে আসা মানুষরাও পড়েছে বেকায়দায়। 

সিরাজগঞ্জ পাউবো’র উপসহকারি প্রকৌশলী হায়দার আলী জানান, গত এপ্রিল থেকে নাটুয়ারপাড়ার বাঁধ ও তার আশপাশ রক্ষায় ১২ হাজার বস্তা জিওব্যাগ ফেলেছে স্থানীয় এমপি মহোদয়ের অনুরোধে। কিন্তু যমুনার বামতীর রক্ষার কোন নীতিমালা না থাকায় বারবার আমরা কাজ করতে পারছি না।

বিজ্ঞাপন

কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী বলেন, টিআর ও কাবিখা প্রকল্পের মাধ্যমে এবং ব্যক্তি ও স্থানীয় ব্যবসায়ীরা মিলে নাটুয়ারপাড়া ও আশপাশের এলাকাকে রক্ষায় মাটির তৈরি এ বাঁধটি নির্মাণ করা হয়েছিল। এবার বাঁধের দক্ষিণপাশে ভাঙছে। পানি কমে গেলে উপজেলা প্রশাসন, উপজেলা পরিষদ ও আমাদের এমপি মহোদয়ের দেওয়া প্রকল্প গ্রহণ করে, আমরা কাজ করতে পারবো। 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |