রাজধানীর উত্তরায় গার্ডার দুর্ঘটনায় নিহত ঝরনা বেগম ও তার দুই সন্তান জান্নাত আর জাকারিয়ার মরদেহ জামালপুরে পৌঁছেছে।
মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাত ৯টা ৩০ মিনিটে লাশবাহী গাড়িটি পৌঁছায়। এর আগে একই দিন পৌনে ১টার দিকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে গার্ডারচাপা পড়ে প্রাইভেটকারে থাকা নিহত পাঁচজনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়।
জানা গেছে, জামালপুরের পাঠানো মরদেহের মধ্যে ঝরনা, দুই সন্তান জান্নাত এবং জাকারিয়াকে মেলান্দহের পয়লা গ্রামে ও ফাহিমাকে ইসলামপুরের ঢেংড়াগড়ে দাফন করা হবে।
ফরেনসিক বিভাগের চিকিৎসক নাসেদ জামিল জানান, নিহত ব্যক্তিদের বিষয়ে সুরতহাল প্রতিবেদনে যা লেখা আছে, ময়নাতদন্তে তাই পাওয়া গেছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এদিকে পাঁচজনের মধ্যে রুবেলকে মেহেরপুর ও বাকি চারজনকে জামালপুরে পাঠানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার (১৫ আগস্ট) বিকেলে উত্তরা জসীমউদ্দীন এলাকায় আড়ংয়ের সামনে ক্রেন দিয়ে একটি গার্ডার ওপরে ওঠানো হচ্ছিল। এ সময় ক্রেন উল্টে সেটি প্রাইভেটকারের ওপর পড়ে। গার্ডার পড়ে প্রাইভেটকারটি দুমড়ে-মুচড়ে যায়। এতে প্রাইভেটকারের ভেতরে থাকা সাতজনের মধ্যে পাঁচজন নিহত হয়।
নিহতরা হলেন রুবেল (৬০), ফাহিমা (৪০), ঝরনা (২৮), জান্নাত (৬) ও জাকারিয়া (২)। বেঁচে যাওয়া দুইজন হচ্ছেন নবদম্পতি হৃদয় ও রিয়া মনি। গত শনিবার তাদের বিয়ে হয়।