চট্টগ্রামে এক ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছেন এক তরুণী।
বৃহস্পতিবার (৮ সেপ্টেম্বর) আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আব্বাস এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-৪ এর বিচারক মো. জামিউল হায়দারের আদালতে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী তরুণী। এ সময় আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম এইচ এম এ আসিফ চৌধুরী লিমন। তিনি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ফেনীর নিজ বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে থাকেন ভুক্তভোগী নারী। সমাজসেবামূলক সংগঠন ‘লায়ন ক্লাবে’ যুক্ত থাকার সূত্র ধরে আসিফের সঙ্গে ফেসবুকে তার পরিচয় হয়। পরে ২০২০ সালে রমজানের পর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে আসিফ ভুক্তভোগী তরুণীকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে আসছিলেন। আসিফ তরুণীর মাকেও ফোন করতেন। একই সঙ্গে মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। এ ছাড়াও নিজের মায়ের সঙ্গেও মোবাইলে ভুক্তভোগী তরুণীকে কথা বলিয়ে দিতেন। পরে গত ৩ সেপ্টেম্বর মায়ের সঙ্গে দেখা করানোর কথা বলে ভুক্তভোগী তরুণীকে চট্টগ্রাম আসতে বলেন তিনি।
এদিকে চট্টগ্রাম শহরে এলে ভুক্তভোগীকে অক্সিজেন নয়াহাট এলাকায় এক রাজনৈতিক বন্ধুর ব্যাচেলর বাসায় নিয়ে যান। পরে সেখানে ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে। এ সময় ভুক্তভোগী তরুণী চিৎকার করলে পালিয়ে যান আসিফ। পরে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। এ ঘটনায় বায়েজিদ থানায় মামলা দায়ের করতে গেলে ভুক্তভোগী তরুণীকে আদালতে মামলা করার পরামর্শ দেয় পুলিশ। পরে বুধবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যাল-৪ এ মামলাটি দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
এ বিষয়ে ছাত্রদল নেতা এইচ এম এ আসিফ চৌধুরী লিমন বলেন, প্রায় চার বছরে তার সঙ্গে কোনো সাক্ষাৎ নেই। পুরো বিষয়টি মিথ্যা। মামলাটি আমাকে হেনস্তার জন্য করা হয়েছে। আমি মূলত রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার।
এ বিষয়ে আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. আব্বাস জানান, এ ঘটনায় বুধবার ভুক্তভোগী তরুণী আদালতে একটি মামলা দায়ের করেছেন। পরে আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।
