নিখোঁজের দুই দিন পর মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মাকে বাঁচাতে চলন্ত লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া নাঈম হোসেনের (২১) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার (১২ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার হোসেন্দি এলাকার মেঘনা নদী থেকে নাঈমের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।
এর আগে, সোমবার ছেলে নাঈমের ওপর অভিমান করে লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন জামিরুন বেগম (৪০)। ওই সময় তাকে জীবিত উদ্ধার করেন স্থানীয় ট্রলারচালকরা। তবে জামিরুনকে উদ্ধারে নদীতে ঝাঁপ দেওয়া ছেলে নাঈমের মরদেহ আজ মেঘনা নদীতে ভেসে উঠে।
নিহত নাঈম হোসেন শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জ উপজেলার সখিপুর থানার আক্তার হোসেনের ছেলে।
গজারিয়া নৌপুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক ইজাজ আহমেদ বলেন, দুপুরে হোসেন্দি এলাকার মেঘনা নদীতে মরদেহটি ভেসে ওঠে। স্থানীয় লোকজন পুলিশে খবর দিলে পুলিশ মরদেহটি উদ্ধার করে। পরে নিখোঁজ নাঈম হোসেনের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। তারা এসে মরদেহ শনাক্ত করেন। মরদেহ হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
প্রসঙ্গত, গত সোমবার সকালে নাঈম হোসেন ও তার মা জামিরুন বেগম (৪০) বাইজিদ জুনাইদ-১ লঞ্চ করে শরীয়তপুর ধুলারচর থেকে ঢাকা সদর ঘাটের দিকে আসছিলেন। লঞ্চে ওঠার পর নাঈম তার মায়ের কাছে টাকা চাইছিলেন। তবে তিনি টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানান। এ নিয়ে মায়ের সঙ্গে নাঈম বাগবিতন্ডা হয়। একপর্যায়ে টাকা না দিলে নাঈম তার মায়ের গলার সোনার চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দিয়ে গলায় হাত দিলে, তার মা ক্ষোভে নদীতে ঝাপ দেন। পরে মাকে বাঁচাতে ছেলেও লঞ্চ থেকে নদীতে ঝাঁপ দেন। এরপর পানিতে তলিয়ে যান নাঈম।