খুলনায় বিএনপির সমাবেশে যাওয়ার জন্য কোনো বাস ও মাইক্রোবাস ভাড়া পাচ্ছেন না মাগুরার বিএনপি নেতাকর্মীরা। অনেক মালিক বাস দেওয়ার কথা বলে অগ্রিম টাকা নিলেও তা ফেরত দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন মাগুরা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আকতার হোসেন।
বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাতে তিনি বলেন, খুলনার সমাবেশে যেতে প্রায় ৫ হাজার নেতাকর্মীর জন্য অনেকগুলো বাস ভাড়া করা হয়েছিল। একই সঙ্গে ২০ থেকে ২৫টি মাইক্রোবাসের মালিকের সঙ্গেও কথা হয়েছিল। কিন্তু অনেক বাস মালিককে অগ্রিম ভাড়া টাকা দেওয়া হলেও এখন তারা বাস দিতে পারবেন না বলে, টাকা ফেরত দিচ্ছেন।
খুলনার সমাবেশ বানচালের জন্য সরকারের চাপে বাস মালিকেরা ভাড়ার টাকা ফেরত দিয়েছেন বলে অভিযোগ করছে জেলা বিএনপি নেতারা।
মাগুরা বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ইসহাক মল্লিক জানান, আগে কয়েকবার বিএনপিকে বাস ভাড়া দিয়েছিলাম। পুলিশ রাস্তা থেকে বাস ঘুরিয়ে দিয়েছে। বাসে মামলা দিয়েছে। এমনকি বিএনপি ভাড়ার টাকা দেয়নি। তাই ঝামেলা এড়াতে বাস ভাড়া দেওয়া হয়নি। তবে কোনো মালিক গাড়ি ভাড়ার অগ্রিম টাকা নিয়ে তা ফেরত দিয়েছেন বলে জানা নেই।
জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও জেলা জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের সভাপতি মোল্লা ইমদাদুর রহমান জানান, শুনেছি জেলার অনেক মালিক বিএনপিকে বাস ভাড়া দিয়েছিলেন। কিন্তু এখন শুনছি এসব মালিক ভাড়া বাতিল করে অগ্রিম টাকা ফেরত দিয়েছেন।
জেলা মাইক্রোবাস মালিক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক শামীম হোসেন লিটন জানান, বর্তমানে বিশেষ অভিযান চলছে, গাড়িতে পুলিশ মামলা দিতে পারে। এ ভয়ে বিএনপিকে গাড়ি ভাড়া দেওয়া হচ্ছে না। মালিকেরা সব ভাড়া বাতিল করেছে।
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আলী আহম্মেদ জানান, সমাবেশ ঠেকাতে সরকারের নির্দেশে বাস ও মাইক্রোবাস ভাড়া দেওয়া হচ্ছে না। তবে এভাবে বাধা দিয়ে সমাবেশ বানচাল করা যাবে না। ২২ তারিখে নসিমন, করিমন, মোটরসাইকেল প্রয়োজনে পায়ে হেঁটে নেতাকর্মীরা খুলনা যাবেন এবং সমাশে সফল করবেন।
উল্লেখ্য, আগামী ২২ অক্টোবর খুলনায় বিএনপির সমাবেশ সামনে রেখে আগামী ২১ ও ২২ অক্টোবর সব গণপরিবহন বন্ধ ঘোষণা করেছে বাস মালিক সমিতি। তবে, বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ধর্মঘট-কারফিউ কোনো কিছুই সমাবেশে যেতে বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।