উত্তরের হিমেল হাওয়া এবং ঘন কুয়াশার কারণে দিনাজপুরের হাকিমপুর (হিলি) উপজেলাসহ আশেপাশের এলাকায় প্রতিদিনই বাড়ছে শীত। সেই সঙ্গে বাড়ছে হাসপাতালগুলোতে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা।
গত এক সপ্তাহে হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৬০ জন রোগী ঠান্ডাজনিত চিকিৎসা নিয়েছেন। প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ জন রোগী ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসছেন। এর মধ্যে শিশু রোগীর সংখ্যা বেশি। শিশুরা সর্দি, জ্বর, ডাইরিয়া এবং বয়স্করা হাপানি রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে বলে জানান চিকিৎসকরা।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিতে আসা মরিয়ম বেগম বলেন, অতিরিক্ত শীতের কারণে আমার মেয়ের গত চার দিন থেকে ডাইরিয়া দেখা দিয়েছে। যার ফলে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছি। এখন আল্লাহর রহমতে অনেকটা সুস্থ। ডাক্তার বলছে আরও দুই দিন হাসপাতালে থাকতে হবে।
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা শ্যামল কুমার দাস বলেন, শীতের প্রকোপ বৃদ্ধির কারণে প্রতিদিনই হাসপাতালে রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিদিন বহির্বিভাগে রোগীর চাপ বাড়ছে। এখন পর্যন্ত হাসপাতালে ২০ জন রোগী ভর্তি রয়েছে। হাসপাতালের চিকিৎসকরা
নিয়মিত তাদের চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছেন। তবে শিশু রোগীর সংখ্যা অনেক বেশি।
দিনাজপুর আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান বলেন, আজ থেকে সকালে ঘন কুয়াশা না থাকলেও শীতের প্রকোপ অনেক বেশি। সোমবার (৯ জানুয়ারী) সকাল ৬টায় ৮ দশমিক ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বাতাসের আর্দ্রতা ৯৭ শতাংশ।