ঢাকাবৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই ২০২৫, ৯ শ্রাবণ ১৪৩২

৭ মাসে ৬৯ কেজি ওজন কমিয়েছে বরিশালের নবীন

আরিফুল ইসলাম, বরিশাল

রোববার, ২২ জানুয়ারি ২০২৩ , ১০:৫৭ পিএম


loading/img

মানুষের পক্ষে কোনোকিছুই দুঃসাধ্য নয়। এ জন্য প্রয়োজন কেবলই ইচ্ছাশক্তি আর দৃঢ় মনোবল। এই মনোবল দিয়েই সব অসাধ্যকে সাধন করা সম্ভব। তেমনই এক অসাধ্যকে সাধন করেছেন বরিশালের ১৬ বছর বয়সী নবীন। সদ্য কলেজে পা দেওয়া এই তরুণের শারীরিক ওজন ছিল ১৬০ কেজি। কিন্তু নিজের চেষ্টায় ৭ মাসে ৬৯ কেজি ওজন কমিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।

বিজ্ঞাপন

সুঠাম দেহের এ তরুণের নাম আবদুল্লাহ আল নবীন। বাড়ি বরিশাল নগরীর পলাশপুরে। ১৬ বছর বয়সী এই তরুণের ওজন এখন ৯১ কেজি। কিন্তু কিছু দিন আগেও তার ওজন ছিল ১৬০ কেজি। সাত মাসের কঠোর পরিশ্রম করে ৬৯ কেজি ওজন ঝরানোর গল্পটা খুব বেশি সহজ ছিল না।

সুস্থ-স্বাভাবিকভাবে জন্ম নেওয়া নবীনের ওজন বেড়ে যেতে শুরু করে আট বছর বয়স থেকেই। তারপর ওজন যত বাড়ে, নবীন ততই শারীরিক অবয়ব নিয়ে কটাক্ষের শিকার হতে থাকেন। বন্ধুবান্ধব ও সহপাঠীদের কাছ থেকে ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্যে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। তবে নবীনের মা-বাবার সান্ত্বনা মিললেও কলেজে ভর্তির পর সেখানে আরও ভয়াবহ অভিজ্ঞতার শিকার হন তিনি।

বিজ্ঞাপন

নবীন জানান, শারীরিক অবয়ব নিয়ে উপহাসের কারণে ভয়ে একসময় ঘর থেকে বের হতাম না। স্কুলেও যেতে অনীহা ছিল। তবে ভেঙে পড়েননি আত্মবিশ্বাসী নবীন। চিকিৎসকের পরামর্শে নিজেকে নতুনভাবে আবিষ্কারের নেশায় পরিশ্রম শুরু করেন। তিনি জানান, দশটা সুস্থ-স্বাভাবিক মানুষের মতো আমিও সহপাঠীদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতে চাইলেও তারা দূরে সরিয়ে দিত। রাস্তায় নামলে সবাই এমনভাবে তাকাত যেন, ভিন্ন কোনো প্রাণী।

নবীনের ৬ মাসের সফলতায় অনেকেই নতুনভাবে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন বলে জানান তার প্রশিক্ষক। বরিশাল গোল্ডজিমের মালিক ও প্রশিক্ষক জানান, নবীন জিমে ভর্তি হওয়ার পর অনেকেই পালিয়ে যায়। কিন্তু তার সফলতা দেখে আবার সবাই আসতে শুরু করেছে। তিনি জানান, মানুষের পক্ষে কোনোকিছুই দুঃসাধ্য নয়। তাই শারীরিক অবয়ব কিংবা গঠন নিয়ে হাসি-তামাশা নয়। একটু সচেতনতা, সতর্কতা আর শারীরিক ব্যায়ামই পারে সুস্থ সবল মানুষ তৈরি করতে, যার উদাহরণ বরিশালের নবীন।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |