নাটোর সদর উপজেলার চাঁনপুর গ্রামে অষ্টম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনার প্রধান আসামি এখনও পলাতক।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহম্মেদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে চাঁনপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, সদর উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের সোনা উল্লার ছেলে সিরাজুল ইসলাম ও মাটিয়াপাড়া গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে আব্দুল মজিদ। অভিযুক্ত প্রেমিক নাটোর সদর উপজেলার চাঁনপুর গ্রামের কালাম উদ্দিনের ছেলে তামিম আহমেদ। তিনি এখনও পলাতক।
জানা গেছে, রাজশাহীর তানোর থানার স্কুলছাত্রীর সঙ্গে চাঁনপুর গ্রামের কালাম উদ্দিনের ছেলে তামিম আহমেদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরই সূত্র ধরে মঙ্গলবার দুপরে তানোর থেকে ভুক্তভোগী স্কুলছাত্রীকে বেড়ানোর কথা বলে নাটোরে নিয়ে আসে তামিম। এ সময় দিনের বেলায় বিভিন্ন স্থান ঘুরিয়ে রাতে ভুক্তভোগীকে কলাবাগানে নিয়ে ধর্ষণ করে প্রেমিক তামিম। পরে সকালে তামিম তার বন্ধু মজিদের কাছে ভুক্তভোগীকে দিয়ে চলে যায়।
এদিকে মজিদও তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে ফের ধর্ষণ করে। পরে মজিদ বেলা ১১টার দিকে ভুক্তভোগী ছাত্রীকে শহরের বনবেলঘরিয়া বাইপাসে রেখে চলে যায়। ওই সময় ভুক্তভোগীর অস্বাভাবিক আচরণ দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হলে পুলিশকে সংবাদ দেয়। পরে সংবাদ পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।
ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নাছিম আহম্মেদ জানান, ভুক্তভোগীর পরিবারের সদস্যরা থানায় এসে তামিম, মজিদ ও তাদের সহযোগী সিরাজুল ইসলাম ও অজ্ঞাতনামা আরও দুজনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে অভিযান চালিয়ে নিজ বাড়ি থেকে মজিদ ও সিরাজুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিকে প্রধান অভিযুক্ত তামিম পালিয়ে যায়। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।