ঢাকাশনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫, ৪ শ্রাবণ ১৪৩২

বাঁশি তৈরির গ্রাম দেবীপুর

আরিফুল হক সোহাগ, নওগাঁ প্রতিনিধি

শুক্রবার, ১৪ এপ্রিল ২০২৩ , ০৪:৫৫ পিএম


loading/img

বাঁশি গ্রাম হিসেবে পরিচিত নওগাঁ সদর উপজেলার দেবীপুর। সারা বছরই বাঁশি তৈরি হয় সেখানে। বৈশাখের বিভিন্ন মেলাকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন গ্রামের কারিগররা।সাংসারিক কাজের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ থাকায় নারী-পুরুষ একসঙ্গে মিলে তৈরি করছেন বাঁশি। 

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, ব্রিটিশ শাসন আমলে আলেক মণ্ডল নামে এক কারিগর সৈয়দপুর জেলা থেকে এই বাঁশি শিল্পের কাজ শিখে নিজ এলাকায় বিস্তারঘটান। সেই থেকে বর্তমান সময় পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক পরিবার এই শিল্পের সঙ্গে যুক্ত।

বিজ্ঞাপন

এদিকে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে বাঁশি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। প্রতি পহেলা বৈশাখে তাদের হাতের তৈরি বাঁশির চাহিদা থাকলেও ব্যতিক্রম দেখা গেছে চলতি বছরে। এবারের পহেলা বৈশাখ রমজান মাসে হওয়ায় ব্যবসায়ীদের বাঁশির চাহিদা নেই বললেই চলে। তবে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে হাতে বানানো বাঁশি তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন তারা।

কারিগররা বলছেন- এ বছর রমজান মাস উপলক্ষে দেশের কোথাও বৈশাখী মেলা নাই। তাই, এই বৈশাখে পাইকারদের আনাগোনাও নেই। তবে আসন্ন ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে প্রস্তুতি নিচ্ছেন।

তারা আরও জানান- প্রথমে জমিতে নল চাষ করে প্রায় ৬-৮ মাস অপেক্ষা করার পর তা কেটে ভালোভাবে ছাঁটাই করে বাঁশি তৈরির জন্য প্রস্তুত করা হয়। এরপর ছাচি দিয়ে ছেঁটে ছোট ছোট আকারে বাঁশি তৈরিপূর্বক নানান রঙিন কাগজ দিয়ে মোড়ানো হয় এবং তাদের বেলুন জুড়ে দেওয়া হয়। আবহাওয়া ও পরিবেশ পরিস্থিতি ভালো থাকলে এক দিনে প্রায় ১ হাজার পিস বাঁশি তৈরি করতে পারেন কারিগররা।

বিজ্ঞাপন

বিজ্ঞাপন

কারিগরদের দাবি- সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় স্বল্প সুদে ক্ষুদ্র ঋণ দানের ব্যবস্থা যদি তাদের জন্য করা হয় তাহলে এই ব্যবসাকে তারা প্রসারিত করতে পারবেন। এ ছাড়া দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে এই বাঁশির চাহিদা থাকায় সরকারি সহোযোগিতায় এই শিল্পের বিস্তার ঘটানো সম্ভব বলে জানান তারা।

অপরদিকে ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন— সিলেট, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তারা এই বাঁশি পাইকারি বিক্রি করেন। তারা কারিগরদের কাছে থেকে পাইকারি ৪-৬ টাকা পিস দরে কিনে ১০-১২ টাকা পিস দরে বিক্রি করে থাকেন। এর থেকে লভ্যাংশ দিয়ে তাদের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তারা।

এই শিল্পের সঙ্গে জড়িতদের সরকারি সহোযোগিতার বিষয়ে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মির্জা ইমাম উদ্দিন জানান, যেহেতু এই পণ্যটি একটি কৃষিপণ্য, তাই ব্যবসার পরিধি বৃদ্ধির জন্য ক্ষুদ্র ঋণের বিষয়ে সরকারিভাবে যথাযথ সহযোগিতা করা হবে। এ ছাড়া এটি একটি কর্মশিল্পের অন্তর্ভুক্ত। তাই, কর্মস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ ব্যবস্থাপনা সম্ভব। 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |