টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলায় ভোজদত্ত ঈদগাহ মাঠে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন স্থানীয় প্রশাসন।
শুক্রবার (২১ এপ্রিল) উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুনিয়া চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বৃহস্পতিবার (২০ এপ্রিল) টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জসীম উদ্দীন হায়দার এক পত্রের মাধ্যমে এ আদেশ জারি করেছেন।
জানা গেছে, ভোজদত্ত ঈদগাহ আধিপত্য নিয়ে টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার ভোজদত্তসহ আশপাশের পাঁচটি গ্রাম ও পার্শ্ববর্তী কালিহাতী উপজেলার বীরবাসিন্দা গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয় ২০১২ সালে। বিরোধ নিরসনের জন্য ২০১২ সালের ২১ নভেম্বর দুই উপজেলার তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে এক বৈঠক হয়। পরে বৈঠক শেষে উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বীরবাসিন্দা গ্রামের আ. গফুর নামে এক ব্যক্তি আহত হন। এ অবস্থায় যেকোনো সংঘর্ষ ও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশংকায় ওই বছরের ২৬ নভেম্বর ঈদুল আজহার দিন জেলা প্রশাসকের নির্দেশ ক্রমে স্থানীয় প্রশাসন ভোজদত্ত ঈদগাহ মাঠের আশপাশের এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করে।
একই বছরের ১ ডিসেম্বর আহত গফুর চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যান। পরে এ বিষয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের হয় যা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে। মূলত ওই হত্যাকাণ্ডের পর দুই গ্রামের মানুষের মধ্যে বিরোধ আরও বেড়ে যায় এবং উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। সেই বিরোধ এখনও বিদ্যমান রয়েছে।
জারিকৃত পত্র থেকে জানা যায়, ঘাটাইল উপজেলায় ভোজদত্ত গ্রাম ও কালিহাতী উপজেলার সীমান্তবর্তী বীরবাসিন্দা গ্রামের অবস্থান। এই দুই গ্রামের সীমানা সংলগ্ন ভোজদত্ত ঈদগাহ মাঠে ঈদের নামাজ আদায় নিয়ে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে আইনশৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা রয়েছে। দুই গ্রামের বিরোধের কারণে ঈদুল ফিতরের দিন ভোর ৫টা থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারার আদেশ জারি করা হয়।
এদিকে আদেশে ঈদগাহ মাঠের ৪০০ গজের মধ্যে সব ধরনের সভা, সমাবেশ, শোভাযাত্রা, শ্লোগান লাঠিসোঁটা বহন, মাইক্রোফোন ব্যবহার, পিকেটিং, অস্ত্র ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।