কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমারসহ জেলার প্রধান প্রধান নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
বুধবার (২১ জুন) সকাল ৯টায় দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপরদিকে ব্রহ্মপুত্র নদের নুনখাওয়া পয়েন্টে পানি বেড়ে বিপৎসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বাড়ছে ধরলার পানি। তবে কিছুটা কমেছে তিস্তা নদীর পানি।
পানি বাড়ায় নদী অববাহিকার চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। ইতোমধ্যে বাড়ির চারপাশে পানি উঠে বন্দি হয়ে পড়েছ এসব এলাকার মানুষ। পানিতে তলিয়ে গেছে সবজি, আমনের চারাসহ পাট।
গতকাল রাত থেকে এ জেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। মঙ্গলবার সকাল ৬টা থেকে বুধবার সকাল ৬টা পর্যন্ত জেলায় ৯৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আগামী ২৪ ঘণ্টা আরও ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে নদ-নদীর পানি আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
পানি বৃদ্ধি পেয়ে ব্রহ্মপুত্র অববাহিকার উলিপুর ও সদর উপজেলার মুসার চর, পুর্ববালাডোবার চর, ফকিরের চর, পোড়ার চরসহ কয়েকটি চরের ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ করতে শুরু করেছে।
এ ছাড়া দুধকুমার নদীর অববাহিকার চরাঞ্চল এবং নিম্নাঞ্চল পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। এসব এলাকার সড়ক ও আবাদি জমি তলিয়ে গেছে।
কুড়িগ্রামের পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, আগামী ২২ ও ২৩ জুন জেলার প্রধান নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপৎসীমা অতিক্রম করার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে দীর্ঘমেয়াদি বন্যা হওয়ার শঙ্কা নেই।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সাইদুল আরীফ বলেন, বন্যা মোকাবিলার সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। জেলায় ৫৪১ টন চাল, নগদ ১০ লাখ ২১ হাজার টাকা ও শুকনো খাবার মজুদ রয়েছে। যেখানে প্রয়োজন হবে তাৎক্ষণিকভাবে বিতরণ করা হবে।