ফেনীর ফুলগাজীতে ঈদের দুইদিন পরও কোনো বেপারি না আসায় দেড় লাখ টাকার পশুর চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
শুক্রবার (৩০ জুন) উপজেলার সদর ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
কোরবানিদাতা আবুল কাশেম জানান, ঈদের দুইদিন অতিবাহিত হলেও তাদের কোরবানি দেওয়া পশুর চামড়াটি কিনতে কোনো বেপারি আসেনি। একপর্যায়ে বাধ্য হয়ে শুক্রবার দুপুরে চামড়াটি মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলায় এবার কোরবানি হয়েছে প্রায় দেড় হাজারের মতো পশু। তবে কোরবানির পশুর চামড়া কিনতে এবার কোনো বেপারি না আসায় এসব চামড়ার পচন ঠেকাতে বেশির ভাগ পশুর চামড়া মাদরাসায় দান করেছেন কোরবানিদাতারা। আর এসব চামড়া ২৫০ থেকে ৩০০ টাকা দরে কিনে নিয়েছে মৌসুমি ক্রেতারা।
ফুলগাজী সদর ইউনিয়নের গোসাইপুর গ্রামের নূরানি মাদরাসার মুহতামিম মো. আবদুল মতিন জানান, গত বছরের মতো এবারও মাদরাসায় সংগৃহীত (দানকৃত) চামড়া নিয়ে চরম বেগ পেতে হয়েছে। ৪৪টি ছোট বড় গরুর চামড়া সংগ্রহ করছেন তিনি। সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো বেপারি না আসায় পরদিন সকালে এক মৌসুমি ব্যবসায়ীর কাছে ৩০০ টাকা দরে চামড়াগুলো বিক্রি করেছেন।
মুন্সীরহাট ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মো. মির হোসেন বলেন, চামড়া কিনতে কেউ না আসায় এলাকার অনেক কোরবানির পশুর চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলা হয়েছে।
ফুলগাজী সদর ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) চেয়ারম্যান মো. সেলিম জানান, কোরবানির পশুর চামড়া মাটিতে পুঁতে ফেলার বিষয়টি শুনেছেন তিনি। তার ভাষ্য, এলাকায় কোরবানি পশুর চামড়া কিনতে কেউ আসেনি। অনেকে কোরবানি দেওয়া পশুর চামড়া মাদরাসায় দিয়ে দিয়েছেন।