ঝালকাঠির সুগন্ধা নদীতে সাগর নন্দিনী-২ নামে তেলবাহী জাহাজে বিস্ফোরণে চার শ্রমিক দগ্ধ হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও পাঁচ শ্রমিক। এ ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. রুহুল আমিনকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। তাদের তিন কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে।
শনিবার (১ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। জেলা প্রশাসক ফারাহ গুল নিঝুম বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তদন্ত কমিটি গঠনের কথা জানান।
বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধরা হলেন- জাহাজের স্টাফ শাকিল (৩৫), ফরিদুল ইসলাম (৫০), ইকবাল হোসেন (২৭) ও মাইনুল ইসলাম হৃদয় (২৯)।
ঝালকাঠি পদ্মা অয়েল কোম্পানি কর্তৃপক্ষ জানায়, সাগর নন্দিনী-২ জাহাজটি প্রায় ১০ লাখ লিটার পেট্রোল এবং ডিজেল নিয়ে ঝালকাঠির পদ্মা অয়েল কোম্পানির সামনে সুগন্ধা নদীতে নোঙর করে। শনিবার বিকেলে জাহাজটি থেকে তেল খালাস করার কথা ছিল। তার আগে দুপুরে ইঞ্জিন রুমে বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
এর আগে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহিদুল ইসলাম জানান, পেট্রোল ও ডিজেল ভর্তি নন্দিনি-২ নামের এ জাহাজটি ঝালকাঠি শহরের সুগন্ধা নদীর পাড়ে পদ্মা তেলের ডিপোতে তেল খালাস করার জন্য আসে।
তিনি আরও জানান, জাহাজটিতে মাস্টারসহ মোট ৯ জন কর্মচারী ছিলেন। এর মধ্যে পাঁচ জনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের ৪ জনকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে ঠিক কী কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে তা প্রাথমিকভাবে তা জানা যায়নি বলেও জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।
এদিকে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার ধানিসাফা ইউনিয়নের বুড়িরচর গ্রামের মৃত আব্দুল মন্নান খানের ছেলে ড্রাইভার আকরাম হোসেন সরোয়ার, বরিশালের বাসিন্দা মাস্টার রুহুল আমিন খান, সুপারভাইজার মাসুদুর রহমান বেলালসহ জাহাজের আরও দুইজন কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন।