বরগুনা সদর উপজেলায় এক পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্যে জুতাপেটা ও মারধর করে ভিডিও ধারণ করার অপরাধে এক নারীসহ ৪ জন গ্রেপ্তার করা হয়েছেন।
শুক্রবার (২৮ জুলাই) বিকেলে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম মিজানুর রহমান। এর আগে, বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তাররা হলেন, গোলাম মাওলা মল্লিক (৩৮), সোহাগ হাওলাদার (২৬), শর্মী আক্তার লিজা (২০) ও রাজিব হাওলাদার (২৬)।
এর আগে, একইদিন ওই চারজনকে আসামি করে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মো. আবদুল হাই নামে এক পুলিশ সদস্য।
এ কে এম মিজানুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার চারজনকে আসামি করে একটি মামলা হলে ওইদিনই অভিযুক্ত চারজনকে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত থাকলে তাদেরও গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে।
তিনি আরও জানান, গত ২৬ জুলাই বিকেলে বরগুনা সদর উপজেলার ২ নম্বর গৌরিচন্না ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের খাজুরতলা নতুন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পুলিশ পরিচয় জেনেও আবু মুছা নামে এক পুলিশ সদস্যকে প্রকাশ্যে মারধরের ঘটনা ঘটে। এ সময় মারধরের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণও করা হয়। আহত অবস্থায় ওই পুলিশ সদস্যকে বরগুনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মারধরের শিকার আবু মুছা বরগুনা সদর থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত।
এদিকে মোবাইল ফোনে ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, কয়েকজন যুবক মিলে পুলিশ সদস্য আবু মুছাকে বেধড়ক পেটাচ্ছেন। এক নারীকেও মারতে দেখা যায়। তবে পুলিশ পরিচয় জেনেও থামেননি তারা।
জানা গেছে, বরগুনা সদর উপজেলার গৌরিচন্না ইউনিয়নের বড় গৌরিচন্না নামক এলাকায় একটি মামলার সাক্ষীদের সমন জারির নোটিশ দিতে রওয়ানা হন কনস্টেবল আবু মুছা। এ সময় খাজুরতলা নতুন বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে তার পূর্ব পরিচিত মোসা. শর্মী আক্তার লিজা কথা বলার উদ্দেশে তাকে ডেকে নেন। সেখানে আগে থেকে উপস্থিত অন্য অভিযুক্তরা তাকে আটক করে বেধড়ক মারধর করেন। খবর পেয়ে থানার কয়েকজন পুলিশ সদস্য এসে আবু মুছাকে উদ্ধার করেন। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে অভিযুক্তরা পালিয়ে যান।
এ বিষয়ে বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আবদুল হালিম বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালনে যাওয়ার পথে বরগুনার পৌর বাস স্ট্যান্ড এলাকায় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে ওই পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালানো হয়। এ ঘটনায় সুনাম ক্ষুণ্ণ করার পাশাপাশি পুলিশের মনোবল ভেঙে দিতেই পরিকল্পিতভাবে এই হামলা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অভিযুক্তরা আইনবিরোধী কাজ করেছে। তাদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হবে।