ঢাকাশুক্রবার, ০২ মে ২০২৫, ১৯ বৈশাখ ১৪৩২

খুলনা সিটি নির্বাচন : বেশি টাকা খরচ করেছেন মেয়র খালেক

আরটিভি নিউজ

সোমবার, ৩১ জুলাই ২০২৩ , ১১:৫৪ পিএম


loading/img

খুলনা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে চার মেয়র প্রার্থীর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ব্যয় করেছেন নির্বাচিত আওয়ামী লীগের প্রার্থী তালুকদার আব্দুল খালেক। সবচেয়ে কম খরচ করেছেন জাকের পার্টির প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন। নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন (ব্যয় বিবরণী) থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

বিজ্ঞাপন

আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানায়, গত ১২ জুন খুলনা সিটি নির্বাচন হয়। এরপর ২০ জুন প্রকাশ হয় মেয়র ও কাউন্সিলর পদে নির্বাচিত প্রার্থীদের গেজেট। স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা-২০১০ অনুযায়ী, গেজেট প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে সব প্রার্থীর নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন জমা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। সে অনুযায়ী মেয়র পদের পাঁচ প্রার্থীর মধ্যে চারজন রিটার্ন জমা দিয়েছেন। এখনও ব্যয় রিটার্ন জমা দেননি জাতীয় পার্টির প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মধু।

এ ছাড়া সংরক্ষিত ৩৯ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে আটজন এবং সাধারণ ১৩৪ কাউন্সিলর প্রার্থীর মধ্যে ২৭ জন নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন জমা দেননি। বিষয়টি নির্বাচন কমিশনকে অবহিত করবে খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন অফিস।

বিজ্ঞাপন

মেয়র প্রার্থীদের মধ্যে তালুকদার আব্দুল খালেক মাইক ও হ্যান্ডমাইক ভাড়া, পোস্টার, লিফলেট ও হ্যান্ডবিল ছাপানো, ব্যানার ও ডিজিটাল ব্যানার তৈরি, ঘরোয়া বৈঠক, মাইকিংয়ের জন্য ইজিবাইক ভাড়া, পোট্রেট ও নির্বাচনী প্রতীক তৈরি, ক্যাম্প/অফিস খরচ, অফিসে আপ্যায়ন, কর্মীদের খরচ ও যাতায়াত খাতে খরচ করেছেন মোট ১৮ লাখ ৬৭ হাজার ১০০ টাকা।

ইসলামী আন্দোলনের প্রার্থী আব্দুল আউয়াল এসব খাতে সাত লাখ ২০ হাজার টাকা ব্যয় করেছেন। স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী এস এম শফিকুর রহমান মুশফিক ৯ লাখ ২২ হাজার ৬০০ টাকা এবং জাকের পার্টির মেয়র প্রার্থী এস এম সাব্বির হোসেন সবচেয়ে কম এক লাখ ১৬ হাজার ৪০০ টাকা ব্যয় করেছেন।

তবে প্রার্থীরা ব্যয়ের যে রিটার্ন জমা দেন তা যাচাই-বাছাই করার বাধ্যবাধকতা নেই। এ বিষয়ে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) খুলনার সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কুদরত-ই খুদা বলেন, বিভিন্ন দেশে প্রার্থীদের নির্বাচনী ব্যয়ের রিটার্ন যাচাই-বাছাই করে দেখা হয়। আমাদের দেশেও যাচাই-বাছাইয়ের বিধান চালু করা প্রয়োজন। এ ছাড়া রিটার্ন জমা দেওয়ার সময়সীমাও এক মাস থেকে কমানো প্রয়োজন। যারা রিটার্ন দেননি তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে।

বিজ্ঞাপন

খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর বলেন, ব্যয় রিটার্ন জমাদানের তথ্য নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হচ্ছে। কমিশন দেখে যে সিদ্ধান্ত নেয়, সে অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |