রাজধানীর ডেমরায় গত ১১ জুলাই একটি বাসা থেকে ৩০ ভরি স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায় সাতজনের একটি ডাকাত দল। ডাকাতির ধরন পর্যালোচনা করে পুলিশ ধারণা করে এটি পেশাদার ডাকাত চক্রের কাজ। ডাকাতদের তথ্য বিশ্লেষণ করে জামিনে আছেন এমন কয়েকজনকে চিহ্নিত করে পুলিশ। এরপরেই চাঞ্চল্যকর তথ্য সামনে আসে।
জানা গেছে, সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় ওই দিনের ঘটনায় জামিনে থাকা রুস্তম নামে এক ডাকাত সরদারের উপস্থিতি পায় পুলিশ। পরে রুস্তমকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যে একে একে সাত ডাকাতকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন ইকবাল, সুমন, সেতারা, রানী বেগম ও আঁখি।
পুলিশ জানায়, ডাকাতির মামলায় রুস্তম পাঁচ বছর ও ইকবাল তিন বছর জেল খাটেন। কারাগারেই তাদের পরিচয় হয়। ওখানে বসে ফের ডাকাতির পরিকল্পনা করেন তারা। সম্প্রতি তারা জামিনে বের হন। এরপর সপ্তাহখানেকের মধ্যেই ডাকাতির প্রস্তুতি নেন। চার জেলা থেকে চারজন, সঙ্গে দুই ডাকাতের স্ত্রীসহ সাত জনের একটি টিম তৈরি করেন। পরে গত ১১ জুলাই রাজধানীর ডেমরার ডগাইর পশ্চিমপাড়া এলাকার একটি বাসার গ্রিল কেটে প্রায় ৩০ ভরি স্বর্ণালংকার নিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ডেমরা জোনের সহকারী পুলিশ সুপার মধুসূদন দাস গণমাধ্যমকে বলেন, ডেমরায় ডাকাতির ঘটনার পর জামিনে থাকা ডাকাতদের প্রোফাইল ঘাঁটতে শুরু করি। এ সময় জামিনে থাকা রুস্তম ওই এলাকায় থাকতে পারে বলে জানতে পারি। পরে এর সত্যতাও পাওয়া যায়। তাকে গ্রেপ্তারের পর সব তথ্য সামনে আসে।
এদিকে ডাকাত চক্রটির বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন জেলায় অনেকগুলো ডাকাতি মামলার তথ্য পেয়েছে পুলিশ।