নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলায় বিয়ের দাবিতে প্রেমিক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে অনশন করতে গিয়ে মারধরের শিকার হয়েছে এক কলেজছাত্রী।
বুধবার (৩০ আগস্ট) স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হেলাল উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সোমবার (২৮ আগস্ট) প্রেমিকের বাড়িতে সকাল থেকে অনশন শুরু করেন ওই শিক্ষার্থী।
অভিযুক্ত ব্যক্তি হলেন উপজেলার পাঁকা-সোলইপাড়া গ্রামের মোস্তফা ইসলামের ছেলে রাজিকুল ইসলাম পাপ্পু।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, কলেজছাত্রী সোমবার সকাল থেকে রাজিবুলের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অবস্থান করছিল। এ সময় বাড়ির লোকজন ভুক্তভোগীকে মারধর করে মোবাইল ফোন কেড়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে বাগাতিপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। বর্তমানে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, প্রায় ৯ মাস আগে রাজিকুলের সঙ্গে পরিচয়। পরবর্তীতে আমাদের মধ্য প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক রূপ নেয় শারীরিক সম্পর্কে। কিছুদিন আগে রাজিবুলকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হয়। কিন্তু রাজিবুল বিয়েতে রাজি না হয়ে, নানা তালবাহানা করতে থাকে। পরে আমার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে, স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে টাকা দিয়ে আপসের চেষ্টা করে।
তিনি আরও জানান, অনেকটা বাধ্য হয়ে সোমবার সকাল থেকে বিয়ের দাবিতে অনশন শুরু করেছি। কিন্তু বাড়ির গেটের সামনেই অনশন করার সময় বাড়ির লোকজন আমাকে মারধর করে। পরে স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
অভিযুক্ত রাজিকুল ইসলাম জানান, আমার বিরুদ্ধে আনা সকল অভিযোগ সঠিক নয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) হেলাল উদ্দিন জানান, আমরা উভয়পক্ষকে নিয়ে বসে আপস মীমাংসা করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু সমাধান না হওয়ায় ভুক্তভোগী কলেজছাত্রী অনশন করেন।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. সোহানুর রহমান জানান, ভুক্তভোগী চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে গেলে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে আবার তাকে হাসপাতালে ভর্তি নেওয়া হয়।
বাগাতিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শফিউল আযম খান জানান, এ ঘটনায় কলেজছাত্রী একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
