কুমিল্লায় দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জহিরুল হক মারা গেছেন।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) ভোর সাড়ে ৬টার দিকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
নিহত চিকিৎসক জহিরুল হকের চাচা ডা. এ কে এম আব্দুস সেলিম এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, পূর্বশত্রুতার জেরে শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে একদল দুর্বৃত্ত আমার ভাতিজার চেম্বার ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্বামী-স্ত্রী দুজনকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভর্তি করা হয়।
তিনি বলেন, অবস্থার অবনতি হলে জহিরুল হককে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে এনে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার ভোর সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ডা. এ কে এম আব্দুস সেলিম বলেন, মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে নেওয়া হয়েছে। আনুষ্ঠানিকতা শেষে দুপুরের পর মরদেহ কুমিল্লায় পৌঁছাবে।
এ ঘটনায় চিকিৎসকের স্ত্রী বাদী হয়ে পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। আসামিরা হলেন- সালাউদ্দিন মোর্শেদ ভূঁইয়া ওরফে পাপ্পু ও তার স্ত্রী সুমী, ছেলে আরহাম ও আহনাফ এবং সিলভার ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ।
এ বিষয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহমেদ সনজুর মোর্শেদ বলেন, এ ঘটনায় মো. সালাউদ্দিন মুরশেদ ভূঁইয়া প্রকাশ পাপ্পু (৫২) নামে একজনকে আটক করা হয়। হামলার সঙ্গে জড়িত বাকিদের আটকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযান অব্যাহত।
চিকিৎসক জহিরুল হক কুমিল্লার রেসকোর্স এলাকার নুরুল হকের ছেলে। তিনি কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক শিক্ষার্থী ও বেসরকারি ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজের সাবেক প্রভাষক। রেসকোর্স এলাকার শাপলা টাওয়ারের দ্বিতীয় তলার একটি ফ্ল্যাটে তিনি বাস করতেন। সেখানেই রোগী দেখতেন।