দিনাজপুরে বিয়ের নয় বছর পরে এক সঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দিয়েছেন আইরিন আক্তার নামে এক প্রসূতি। জন্ম নেওয়া তিন সন্তানের মধ্যে দুই ছেলে ও এক মেয়ে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) বেলা ১১টায় খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সাবিক) দেবাশীস চৌধুরী। এ সময় তিনি প্রসূতির পরিবারকে ফলমূল ও আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন।
শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে মিনহাজুল ইসলাম ও আইরিন দম্পতির কোলজুড়ে আসে এক ছেলে ও এক মেয়ে। এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নরমাল ডেলিভারিতে প্রথম ছেলে সন্তানের জন্ম হয়। পরে এক ছেলে সন্তান মারা গেলেও সুস্থ রয়েছে অপর দুই সন্তান।
পরিবার সূত্রে জানা যায়, ২০১৩ সালে দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার সাইদুর ইসলামের ছেলে মিনহাজুলের সঙ্গে নবাবগঞ্জ উপজেলার ভাদুরিয়া এলাকার আইরিন আক্তারের। এতদিন সন্তান না হওয়ায় বিভিন্ন জায়গায় চিকিৎসা চালান তারা। পরে রংপুরের এক গাইনি ডাক্তারের চিকিৎসা নেওয়ার পরে সন্তান ধারণ করেন আইরিন আক্তার।
তিন সন্তানের নানি রুপা বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে আমার মেয়ের সন্তান হচ্ছিল না। এতদিন পর তিন সন্তান হইছে। এক ছেলে মারা গেছে। আমরা চাই বাকি দুই সন্তান সুস্থ স্বাভাবিক থাকে। আর আজকে সরকারের পক্ষ থেকে এডিসি স্যার এসে দেখাশোনা করলেন, ফলমূল আর আর্থিক সহায়তা করলেন। এজন্য খুব ভালো লাগছে।’
তিন সন্তানের বাবা মিনহাজুল ইসলাম বলেন, বিয়ের এতদিন পর আল্লাহ আমাদেরকে সন্তান দিছে এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া। আমি তো অটোভ্যান চালাই, আমি চাই সন্তানেরা লেখাপড়া করে চাকরি করুক। তাদের জন্য আপনারা সবাই দোয়া করবেন।
এদিকে তিন সন্তানের জন্মের ঘটনায় দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজে তাদের দেখতে যান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) দেবাশীষ চৌধুরী।
তিনি বলেন, তিন সন্তানের বাবা সরকারিরী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে থাকতেন। জেলা প্রসাশকের নির্দেশনা মোতাবেক তাদের প্রাথমিক সেবা-শুশ্রূষা ও দেখভালের জন্য আর্থিক সহায়তা ও ফলমূল দেওয়া হয়েছে। তাদের সার্বিক সহযোগিতায় জেলা প্রশাসন সবসময় পাশে আছে।