ঢাকারোববার, ২০ জুলাই ২০২৫, ৫ শ্রাবণ ১৪৩২

৬ ডিসেম্বরকে ‘জাতীয় কূটনৈতিক দিবস’ ঘোষণার দাবি

আরটিভি নিউজ

বুধবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৩ , ০৮:৫১ পিএম


loading/img
ফাইল ছবি

বাংলাদেশের ইতিহাসে ৬ ডিসেম্বর তারিখটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ এই তারিখে বাংলাদেশ সবচেয়ে বড় কূটনৈতিক সফলতা পেয়েছিল। বর্তমান সরকার মুক্তিযুদ্ধে ভারত ও তাজউদ্দীন সরকারের ভূমিকা তেমন আলোচনা করেন না। তাই এই দিনকে ‘জাতীয় কূটনৈতিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণা করার কথা উল্লেখ করেছেন একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির সভাপতি শাহরিয়ার কবির।

বিজ্ঞাপন

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) বিকেল তিনটায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে বাংলাদেশকে ভারতের কূটনৈতিক স্বীকৃতির ৫২তম বার্ষিকী উপলক্ষে ‘বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর পটভূমি’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এই কথা বলেন। একাত্তরের ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি এ অনুষ্ঠানটি আয়োজন করে।

এ সময় মুক্তিযুদ্ধে ভারতের অবদানকে শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে শাহরিয়ার কবির বলেন, ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু। আমাদের আদর্শ গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতার সাথে মিল ছিল বলেই ভারত আমাদের সহায়তা করেছিল। তারা আমাদের ভাইয়ের মতো। দুই দেশের সম্পর্ক রক্তের মধ্য দিয়ে অর্জিত হয়েছে। সম্পর্কে তিস্তার পানিসহ নানা বিষয়ে কিছু টানাপোড়ন থাকতে পারে। তবে ভারত আমাদের সাথে রক্তের বন্ধনে আবদ্ধ।

বিজ্ঞাপন

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রাক্তন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিমন্ত্রী মোস্তফা জাব্বার বলেন, শুরুতে ভারত ও ভুটান আমাদের স্বীকৃতি দেয়। ভারত আমাদেরকে অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দিয়ে যুদ্ধে লড়তে শিখিয়েছে। তাদের সহযোগিতা অন্য কারও সাথে তুলনা হয় না৷

পাকিস্তানিরা বিদায় নিয়েছে কিন্তু তাদের জারজ সন্তানরা এখনো দেশে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ কেবল সার্টিফিকেটধারী লোকেরাই করেছে, বিষয়টি এমন নয়। সমস্ত জনগোষ্ঠী যুদ্ধ না করলে আমরা সফল হতাম না।

বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক বলেন, ভারত আমাদের বন্ধু। একাত্তরে তারা আমাদের সহযোগিতা না করলে মুক্তিযুদ্ধের ফলাফল কী হতো তা বলা মুশকিল। তারা আমাদের যেভাবে সহায়তা করেছে, এরপর তাদের বিরুদ্ধে কথা বলা অকৃতজ্ঞতার শামিল। যারা অকৃতজ্ঞ, তারা পাকিস্তানি। আগামী নির্বাচনে আমরা পাকিস্তানি কাউকে সংসদে দেখতে চাই না।

বিজ্ঞাপন

আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন- শিক্ষাবিদ শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, ব্রিটিশ মানবাধিকার কর্মী জুলিয়ান ফ্রান্সিসসহ প্রমুখ।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |