ময়মনসিংহের শম্ভুগঞ্জ জিকেপি কলেজের পেছনের অরক্ষিত রেলক্রসিংটি অনুমোদনহীন বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ।
মঙ্গলবার (২৬ ডিসেম্বর) গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহের রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন সহকারী নির্বাহী প্রকৌশলী আকরাম আলী।
তিনি বলেন, ওই অরক্ষিত রেলক্রসিংটি অনুমোদনহীন। যে কারণে ওই রেলক্রসিংয়ে কোনো গেইটম্যান নেই।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলছেন, সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুর দেড়টার দিকে শম্ভুগঞ্জ জিকেপি কলেজের পেছনের অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে ট্রাক-ট্রেন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। একটি ট্রাক রেললাইনের ওপর উঠে গেলে ট্রেনটি ট্রাকটিকে সজোরে ধাক্কা দেয়। ট্রেনের ধাক্কায় ট্রাকটি দুমড়েমুচড়ে সড়কের নিচে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ৪ জন নিহত হন।
স্থানীয়দের দাবি, ট্রাকচালকের অদক্ষতার কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। ট্রাকচালক দেখছিল ট্রেন আসছে, তারপরও বালুবাহী ট্রাক রেললাইনে তুলে দেয়। পরে আর রেললাইন থেকে ট্রাক নিয়ে যেতে পারেনি। যে কারণে এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। এখানে অতি দ্রুত একজন গেইটম্যান প্রয়োজন।
পরে খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ ও র্যাব ঘটনাস্থলে আসে। ইঞ্জিন দুমড়েমুচড়ে যাওয়ায় তিনটি মরদেহ ট্রেনের ইঞ্জিনের সামনে আটকে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা কাটার দিয়ে কেটে দুই পুরুষ ও এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে।
ময়মনসিংহ রেলওয়ে থানার উপপরিদর্শক বলেন, এই ঘটনায় নিহত ট্রাকচালকসহ দুইজনের পরিচয় মিলেছে। তারা হলেন, জেলার ত্রিশাল উপজেলার বৈলর এলাকার শাহজাহানের ছেলে ট্রাকচালক সবুজ (২৮), অপরজন নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলার উলুকান্দা এলাকার বাবুল মিয়ার ছেলে টিটু মিয়া (১৪)। অপর দুইজনের পরিচয় জানতে পিবিআই কাজ করছে।
ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মাকসুদ চৌধুরী বলেন, দুর্ঘটনার সার্বিক কারণ জানার জন্য চার সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জানাতে বলা হয়েছে।