লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে (২০) ধর্ষণের অভিযোগে এক শ্রমিকলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তার নাম মো. জোবায়ের হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার গোলাম মোর্শেদ।
এর আগে সোমবার রাতে ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানাধীন চুনকাটিয়া কালিগঞ্জ এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জোবায়ের রামগতি উপজেলা শ্রমিকলীগের সদস্য সচিব ও উপজেলার চর আলগী ইউনিয়নের চর সেকান্দর গ্রামের মৃত খুরশিদ মাওলানার ছেলে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগী গৃহবধূ উপজেলার চরআলগী ইউনিয়নের চরনেয়ামত গ্রামের বাসিন্দা। প্রায় ৪ মাস আগে পার্শ্ববর্তী চর সেকান্দার গ্রামের এক রিকশাচালকের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। এখন তিনি দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। শাশুড়ির অসুস্থতার কথা শুনে ২০ জানুয়ারি দুপুরে বাবার বাড়ি থেকে হেঁটে তিনি শ্বশুরবাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে চর সেকান্দর গ্রামের মৌলভীবাজারের সামনে সুফিরহাট-বাংলাবাজার পাকা রাস্তায় পেছন থেকে তার মুখ চেপে ধরে অভিযুক্তরা।
একপর্যায়ে শ্রমিকলীগ নেতা জোবায়ের তার ব্যক্তিগত কার্যালয়ের পেছনের কক্ষে জোরপূর্বক নিয়ে যান তাকে। পরে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনাটি কাউকে জানালে হত্যা করা হবে বলেও হুমকি দেন। ঘটনার সময় অপর অভিযুক্ত শাহাদাত বাইরে পাহাররত ছিলেন।
এ ঘটনায় রোববার রাতে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে শ্রমিকলীগ নেতা জোবায়ের ও শাহাদাত হোসেনের নাম উল্লেখ করে রামগতি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন।
অভিযুক্ত শাহাদাত একই গ্রামের সাহাব উদ্দিনের ছেলে।
এ দিকে শ্রমিকলীগ নেতা জোবায়ের হোসেন বলেন, এলাকার শাহাদাত ও সোহাগ আমার অফিসের পেছনে ধর্ষণের ঘটনাটি ঘটিয়েছে বলে শুনেছি। এর সঙ্গে আমি জড়িত নই। রাজনৈতিক প্রতিহিংসায় আমাকে ফাঁসানো হচ্ছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও রামগতি থানার এসআই শাহনুর আলম বলেন, ভিকটিম গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা করানো হয়েছে। তিনি সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জবানবন্দিও দিয়েছেন।
র্যাব-১১ এর নোয়াখালী ক্যাম্পের স্কোয়াড কমান্ডার গোলাম মোর্শেদ জানান, মামলার পরপরই আসামি জোবায়েরকে গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তদন্ত শুরু করা হয়। অবশেষে তাকে গ্রেপ্তার করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।