সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগে অনিয়মের অভিযোগে মানববন্ধন
সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ পরীক্ষা নিয়ে লুকোচুরি অনিয়-দুর্নীতির প্রতিবাদে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. মো. আবু নঈম শেখ’র অপসারণের দাবিতে মানববন্ধন করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে সচেতন সুনামগঞ্জবাসীর ব্যানারে জাগো সুনামগঞ্জবাসী শ্লোগানে আদালত প্রাঙ্গণে এই মানববন্ধন কর্মস‚চি পালিত হয়। মানববন্ধনে আইনজীবী, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার লোকজন অংশগ্রহণ করেন।
অ্যাড. এনাম আহমদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাড. নজরুল ইসলাম, সাবেক সভাপতি অ্যাড. রবিউল লেইস রোকেস, সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শেরেনুর আলী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. রুহুল তুহিন, নারী নেত্রী গৌরী ভট্টাচার্য, অ্যাড. বুরহান উদ্দিন দোলন।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, অ্যাড. তৈয়বুর রহমান বাবুল, অ্যাড. আব্দুল করিম, অ্যাড. শুকুর আলী, অ্যাড. জিয়াউর রহমান শামীন, অ্যাড. বিমান কান্তি রায়, অ্যাড. শাহাবুদ্দিন চৌধুরী, অ্যাড. আনিসুজ্জামান শামীম, অ্যাড. মনীষ কান্তি দে মিন্টু, অ্যাড. আবুল আজাদ রুমান, অ্যাড. মাজহারুল ইসলাম, অ্যাড. পঙ্কজ তালুকদার, অ্যাড. মাহবুবুল হাসান শাহীন, জেলা উচীদীর সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, অ্যাড. এ আর জুয়েল, হাওর বাঁচাও আন্দোলনের নেতা আনোরুল হক প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, সুনামগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম শুরু হওয়ায় হাওরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্নের বাস্তবায়ন হচ্ছে। কিন্তু শুরুতেই শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ নিয়ে ভিসি লুকোচুরি, অনিয়ম-দুর্নীতি করছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা কাজে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাঝে ভিসি সুযোগ-সুবিধা চাইছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ প্রক্রিয়া সুনামগঞ্জে না নিয়ে ঢাকা, গাজীপুরে করছেন তিনি। এছাড়া পরীক্ষা ফলাফল নিয়েও লুকোচুরি হচ্ছে। তাই অবিলম্বে সকল নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল করতে হবে। সকল নিয়োগ পরীক্ষা সুনামগঞ্জে নেয়ার দাবিসহ বর্তমান ভিসির অপসারণ দাবি করেন বক্তারা।
অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আবু নঈম শেখ গণমাধ্যমকে বলেন, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলোরই নিয়োগ পরীক্ষা ঢাকায় হচ্ছে। যারা বুঝেন না, তারা এসব নিয়ে সমালোচনা করছেন। সুনামগঞ্জে এই পরীক্ষা নেওয়া কঠিন। শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ঢাকা, জাহাঙ্গীরনগর এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের তিনজন প্রফেসর ছিলেন। তাদেরকে ওখানে নিয়ে যাওয়া কঠিন। ওখানে এখনও ভিসির একটি গাড়ী পাওয়া যায় নি। অফিসেরও কোনো ভালো ব্যবস্থা হয়নি। এখানে প্রফেসরদের রাখারও কোনো ব্যবস্থা নেই। নিয়োগ পরীক্ষা স্বচ্ছতার সঙ্গেই হচ্ছে। পরীক্ষায় কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে না।
মন্তব্য করুন