উদ্বোধনের দিন উঠে গেল সড়কের পিচঢালাই। এতে ক্ষুব্ধ হন খোদ প্রধান অতিথি ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু। রোববার বিকেলে সাঁথিয়া উপজেলার ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়নের বনগ্রাম-চিনাখড়া-ভায়া সামান্যপাড়া সড়ক ও সেতুর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে গিয়ে এমন ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, রোববার (৭ এপ্রিল) সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম-চিনাখড়া-ভায়া সামান্যপাড়া সড়ক ও সেতুর উদ্বোধন করতে যান জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু এমপি। এ সময় এলাকাবাসী নির্মিত পিচঢালাই সড়ক হাত দিয়ে তুলে ডেপুটি স্পিকারকে দেখান।
এ সময় ডেপুটি স্পিকার উপজেলা প্রকৌশলী ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারের (ভারপ্রাপ্ত) ওপর ক্ষুব্ধ হন। ঠিকাদারকে খোঁজেন। অবস্থা বেগতিক দেখে ঠিকাদার পালিয়ে যান বলে জানা যায়।
তথ্যসূত্র বলছে, স্থানীয় প্রকৌশলী অধিদপ্তরের বাস্তবায়নে আরডিআরআইডিপি অ্যান্ড এসইউপিআরবি প্রকল্পের আওতায় ৪ কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রাম-চিনাখড়-ভায়া সামান্যপাড়া ১ হাজার ৭০০ মিটার সড়ক ও সেতুর নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় পাবনার সুজানগরের ‘মন্ডল কনস্ট্রাকশন’।
স্থানীয় বাসিন্দা কালাম, সুমনসহ অনেকেই জানান, কাজ নিম্নমানের হওয়ায় পিচঢালাই সড়কের পাথর একাই উঠে যাচ্ছে। এ সড়ক ২ মাসও যাবেনা। তাদের অভিযোগ সাঁথিয়া উপজেলা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের একজন সার্ভেয়ার মির্জা ইদ্রিস উদ্দিন আহমেদ (উপসহাকারী প্রকৌশলীর দায়িত্ব প্রাপ্ত) ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের যোগসাজশে এ সড়কে নিম্নমানের কাজ হয়েছে।
এ সময় এলাকাবাসী নতুন করে সড়ক নির্মাণের দাবি জানান। ক্ষেতুপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মনসুর আলম পিনচু বলেন, সড়কের কাজ যে মানের হওয়ার কথা ছিল সে মানের হয়নি। হাত দিয়েই লোকজন পিচঢালাই পাথর তুলে ফেলছে। কাজ ঠিক না করে বিল না দেওয়ার দাবি জানান তিনি।
সড়ক নির্মাণকারী ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ‘মন্ডল কনস্ট্রাকশন’ স্বত্বাধিকারী রফিক মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাঁথিয়া উপজেলা প্রকৌশলী মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, মাত্র দুদিন হলো ঢালাই হয়েছে। গরমই কাটেনি। অতিরিক্ত রোদের কারণে সড়কের পিচঢালাইকৃত পাথর উঠে যাচ্ছে।