রাজবাড়ীতে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বাড়িতে হামলা, গুলিবিদ্ধ ৪
রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের মিশ্রীপাঁচবাড়িয়া গ্রামে জেলা হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার বাড়িতে দুদফা হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় ওই পরিবারে চার সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ৩টার দিকে রাজবাড়ী জেলা অ্যাকাউন্টস অফিসের হিসবারক্ষণ কর্মকর্তা প্রদীপ মণ্ডলের বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। এ বিষয়ে পাংশা থানায় মামলা করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন পাংশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার।
তিনি বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। হামলায় চারজন আহত হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, চরমপন্থী দলের সদস্যরা এ হামলা চালায়। এলাকায় পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে।
গুলিবিদ্ধ আহতরা হলেন কানু মণ্ডলের ছেলে লক্ষ্মণকুমার মণ্ডল (৩৭), বিকাশ চন্দ্র মণ্ডলের ছেলে সুজন মণ্ডল (২২), গেদুনাথ মণ্ডলের ছেলে রুপ চাঁদ মণ্ডল (৩৭) ও নীল মণ্ডলের ছেলে বিবেক চন্দ্র মণ্ডল (৪৮)। আহতরা সবাই মিশ্রীপাঁচবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।
প্রদীপ মণ্ডল বলেন, ‘আমি গতরাতে বাড়িতে এসেছি। রাত ৩টার দিকে আমাদের বাড়ির পেছন দিকে আমার ছোট ভাইয়ের ঘরের দরজা ভেঙে একদল দুর্বৃত্ত ঘরে প্রবেশ করে। এরপর তারা আমার বাবার ঘরে যায়। আমি বিষয়টি বুঝতে পারার পর তাদের সঙ্গে কথা বলে ব্যস্ত রাখি। এ সুযোগে আমার এক ভাই পুলিশকে ফোন করে। পাশাপাশি আশেপাশের প্রতিবেশীদের ডেকে তোলে। তখন প্রতিবেশীরা এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা ফাঁকা গুলি ছুড়ে চলে যায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার পরেও প্রতিবেশীরা আমাদের বাড়িতে ছিল।’
প্রদীপ মণ্ডল আরও বলেন, ‘পুলিশ চলে যাবার পর ভোরের আজানের ঠিক পাঁচ-সাত মিনিট আগে আবারও দুর্বৃত্তরা হাজির হয়। এ সময় পুলিশকে জানিয়েছি কেন, কাজটি ঠিক করিস নাই বলে গুলি ছোঁড়ে। গুলিতে চারজন আহত হয়। আর যাবার সময় বলে যায় পাঁচ লাখ টাকা সাত দিনের মধ্যে না দিলে তোদের কপালে কষ্ট আছে। আহতদের উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলায় বাড়ির দেয়াল ও প্রাচীরে ক্ষত হয়।’
এ বিষয়ে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক সিফাত রাব্বী প্রিয়ম বলেন, ‘আহত অবস্থায় পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চারজনকে ভর্তি করা হয়। আহতদের মধ্যে লক্ষ্মণ কুমার মণ্ডল ও সুজন মণ্ডলকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে। অপর দুজনকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেওয়া হচ্ছে।’
মন্তব্য করুন