ঢাকামঙ্গলবার, ০১ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১

ভিক্ষাবৃত্তির জন্য শিশু নোমানের আঙুল পুড়িয়ে দেওয়া হয়

আরটিভি নিউজ

বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪ , ১০:৩০ পিএম


loading/img
ছবি : সংগৃহীত

৮ মাস বয়সী আব্দুল্লাহ আল নোমান নামে এক শিশুকে অপহরণ করে পঙ্গু বানিয়ে ভিক্ষাবৃত্তির জন্য পুড়িয়ে দেওয়া হয় হাতের পাঁচ আঙুল। বুধবার (৩০ এপ্রিল) ময়মনসিংহের চায়না মোড় থেকে ২৯ দিন পর শিশুটিকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় অপহরণ মামলার প্রধান আসামি আইরিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিজ্ঞাপন

বৃহস্পতিবার (২ মে) দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশের উপ-কমিশনার (অপরাধ উত্তর) আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান।

পুলিশের এ উপ-কমিশনার জানান, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পরিকল্পিতভাবে পঙ্গু করে শিশুদের ভিক্ষাবৃত্তিতে নামানোর অভিযোগ বেশ পুরোনো। সারাদেশে বিকলাঙ্গ শিশুদের ভিক্ষার নামে ব্যবসা করাচ্ছে এক শ্রেণির অসাধু চক্র। এরই ধারাবাহিকতায় শিশু নোমানকে অপহরণ করা হয়।

বিজ্ঞাপন

তিনি জানান, শিশু নোমানের বাবা পেশায় পোশাক শ্রমিক। তিনি গাজীপুর মহানগরের বাসন থানা এলাকার একটি পোশাক তৈরি কারখানায় চাকরি করেন। কর্মের সুবাদে পরিবার নিয়ে শিশু নোমানের পিতা মোক্তার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে নাওজোড় এলাকার ফরিদ মিয়ার ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন। গত ৩ এপ্রিল বাসা থেকে একই বাসার ভাড়াটিয়া আইরিন নামের এক মহিলা ওই শিশুকে চুরি করে পালিয়ে যান। তখন শিশুটির পিতা বাদী হয়ে বাসন থানায় একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেন। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও শিশুটিকে পুলিশ উদ্ধার করতে পারেনি। তবে আইরিনের স্বামী মো. আবু সাঈদকে (সুমন) কুড়িগ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়।

তিনি আরও জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুরি হওয়ার একমাস পর আসামি আইরিনকে ১ মে ময়মনসিংহের চায়না মোড় থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং অপহৃত শিশু নোমানকেও উদ্ধার করা হয় তার কাছ থেকে। অপহরণকারী আইরিন শিশুটিকে নিয়ে ছদ্মবেশে ভিক্ষাবৃত্তি করে আসছিলেন।

আবু তোরাব মো. শামছুর রহমান বলেন, অভিযুক্ত আইরিন শিশু নোমানকে দিয়ে তিনি ভিক্ষাবৃত্তি করানোর কথা স্বীকার করেছেন। 

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |