হাতিয়ায় চেতনানাশক স্প্রে করে ঘর লুট
হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের গভীর রাতে ঘরের সবাইকে চেতনানাশক স্প্রে করে স্বর্ণালঙ্কার ও নগদটাকা লুট করার ঘটনা ঘটেছে। স্প্রের শিকার গৃহকর্তা শাহে আলমকে অজ্ঞান অবস্থায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলেও তার এখনও জ্ঞান ফেরেনি।
শুক্রবার (৭ জুন) রাতে হাতিয়ার চরঈশ্বর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের চরকৈলাশ গ্রামের নন্দরোড সংলগ্ন শাহে আলমের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পারিপারিক সূত্রে জানা যায়, শাহে আলমের স্ত্রী বিদেশ ফেরৎ ছোট ছেলেকে নিয়ে চিকিৎসার কাজে ঢাকায় যান। দুই ছেলের স্ত্রী ও শাহে আলম বাড়িতে ছিলেন। শুক্রবার রাত ১০টায় গৃহকর্তা শাহে আলম বাজার থেকে এলে ঘরে তার দুই পুত্রবধূসহ রাতের খাবার খেয়ে যার যার রুমে চলে যায়। অনেক বেলা হলেও ঘরের কোনো লোকজনের ঘুম ভাঙে না। অনেক পরে ঘরের ছোট বাচ্চাদের কান্না কাটিতে পুত্রবধূরা চোখ মেলতে পারলেও চেতনানাশক স্প্রের প্রভাবে তারা উঠে দাঁড়াতে পারছিলেন না। একপর্যায়ে তারা দেখেন যে, ঘরে আসবাবপত্র এলোমেলো ভাবে তছনছ হয়ে রয়েছে। আলমারি, সিন্দুক সব খোলা। আলমারির ভেতর টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার কিছুই নেই।
পরে স্থানীয়রা হাতিয়া থানায় বিষয়টি অবহিত করলে পুলিশ গিয়ে শাহে আলমকে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসে। পুত্রবধূদের স্থানীয় চিকিৎসক ডেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
হাতিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. খালেদ সাইফুল্লাহ ফয়সাল বলেন, ‘শাহে আলম চেতনানাশক যে কোনো দ্রব্যের শিকার হয়েছেন। তবে এখনও তার চেতনা ফিরে আসেনি। আমরা তাকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা অব্যাহত রেখেছি।’
এ বিষয়ে হাতিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মন্তব্য করুন