ফেনীতে বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগের শেষ নেই
ফেনীর ফুলগাজী ও পরশুরামের বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও দুর্ভোগের শেষ নেই। ফুটে উঠছে ক্ষয়ক্ষতির চিত্র। দৃশ্যমান হচ্ছে রাস্তার দুরাবস্থা। মানুষ বাড়িঘরের আসবাবপত্র তছনছ হয়ে গেছে। পুকুরের মাছ, গবাদিপশু, কৃষি জমির বীজতলাসহ শাকসবজি, তরিতরকারি সব নষ্ট হয়ে গেছে। গত ৪ দিন রান্না বন্ধ। অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটছে এসব বানভাসি মানুষের।
শুক্রবার (৫ জুলাই) এ বিষয়ে ফুলগাজী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া ভূঁইয়া বলেন, ১৮টি গ্রামের ১৪০০ পরিবারের মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। অনেক জায়গাতে পানি নামতে শুরু করেছে। তবে কৃষি জমিতে এখনও পানি রয়েছে। এ সকল পানিবন্দি মানুষের জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ টন চাল ও এক হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আমনের বীজতলা, গ্রীষ্মকালীন সবজি ও পুকুরের মাছ। পানিতে আমনের বীজতলা নিমজ্জিত হয়েছে সাড়ে ১৬ হেক্টর। গ্রীষ্মকালীন সবজির খেত নিমজ্জিত হয়েছে সাড়ে ৭ হেক্টর।
মৎস্য বিভাগের তথ্যমতে, দুই উপজেলার ৬০ থেকে ৭০টি পুকুরের মাছ ভেসে গেছে। কৃষি ও মৎস্যের ক্ষতি প্রায় কোটি টাকার মতো।
ফেনী জেলা প্রশাসক মোছাম্মৎ শাহিনা আক্তার বলেন, ‘আমরা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য নগদ টাকা, খাদ্য সামগ্রীসহ শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছি। প্রয়োজনে আরও বরাদ্দ দেওয়া হবে। বন্যা পরবর্তীতে পুনর্বাসনসহ সকল প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করা হবে।’
উল্লেখ্য, গত সোমবার রাতে ফেনীর মুহুরী ও কহুয়া নদীর ৮টি স্থান ভেঙে পরশুরাম ও ফুলগাজীর ২৮ গ্রাম প্লাবিত হয়।
মন্তব্য করুন