জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বৃদ্ধা রুকিয়া
লাখাইয়ে জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন মোছা. রুকিয়া খাতুন নামে এক বৃদ্ধা। মানবেতর জীবনযাপন করলেও সরকারি কোনো সাহায্য সহায়তা ভাগ্যে জুটেনি তার।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, লাখাই উপজেলার ৬নং বুল্লা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের পূর্ব বুল্লা গ্রামের মৃত ছায়েব আলীর স্ত্রী মোছা. রুকিয়া খাতুন তার স্বামী ৩ মেয়েকে রেখে মৃত্যুবরণ করেন। স্বামীর মৃত্যুর পর প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনদের সহায়তায় ৩ মেয়েকে কোনমতে বিয়ে দিতে পেরেছেন। এরপর থেকেই জরাজীর্ণ ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তিনি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জরাজীর্ণ একটি ঘরে মানবেতর জীবনযাপন করছেন মোছা. রুকিয়া খাতুন। প্রাকৃতিক দুর্যোগে ঘরটি হেলে পড়লে প্রতিবেশী ও স্থানীয়দের সহায়তায় ওই ঘরটি কোনো রকম ভাবে দাঁড়িয়ে আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগে যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
মোছা. রুকিয়া খাতুন বলেন, ‘আমার স্বামী মারা যাওয়ার পর ৩ মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার পর আমি এখন একা। আমি বরশি দিয়ে মাছ ধরে কোনভাবে দুমুঠো ভাত খাই।’
আপনি কি কোনো সরকারি সাহায্য সহায়তা পান কি না এমন প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, আমি গরিব অসহায় বিধবা মহিলা, আমাকে কে সাহায্য দেবে, আমি মেম্বার চেয়ারম্যানসহ অনেকের কাছে গেছি সাহায্য চাওয়ার জন্য। কেউই কিছু দেয় নাই।’
এ বিষয়ে ৮নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার নজরুল ইসলাম বলেন, সরকারিভাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ বরাদ্দ না থাকায় মোছা. রুকিয়া খাতুনকে সরকারিভাবে কোন সহায়তা করা যাচ্ছে না। তবে সরকারি কোনো বরাদ্দ আসলে এ বিষয়ে বিবেচনা করা হবে।’
৬নং বুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খোকন চন্দ্র গোপ বলেন, ‘রুকিয়া খাতুনের বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জেনেছি। দ্রতই চেষ্টা করবো তাকে সরকারিভাবে কোনো সহায়তা দেওয়া যায় কি না সেই ব্যবস্থা করার।’
লাখাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদা সুলতানা বলেন, ‘এ বিষয়ে আপনার মাধ্যমে অবগত হয়েছি। মোছা. রুকিয়া খাতুন আমার বরাবর একটি লিখিত আবেদন করলে কোনো ধরনের সরকারি সহায়তা দেওয়া যায় কিনা সেই ব্যবস্থা করবো। এ বিষয়ে দ্রুত খতিয়ে দেখব।’
মন্তব্য করুন