গলির ভেতরে পড়ে ছিল ১৮ লাখ টাকা, অতঃপর...

রাজশাহী প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

রোববার, ১৮ আগস্ট ২০২৪ , ০৫:০৮ পিএম


আরটিভি
ছবি: আরটিভি

রাজশাহীতে রাস্তায় পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা ১৮ লাখ টাকা ও একটি সোনালী রঙের ধাতব বস্তু কুড়িয়ে পেয়ে থানায় জমা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

বিজ্ঞাপন

রোববার (১৮ আগস্ট) ভোরে নগরীর ভদ্রা এলাকায় রাস্তা থেকে ওই টাকা ও ধাতব বস্তুটি কুড়িয়ে পান শিক্ষার্থীরা। পরে বেলা ১১টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী টাকা ও ধাতব বস্তুটি নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় সেনাবাহিনী ও একজন ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে জমা দেন। 

ওই ধাতব বস্তুটিতে ১৮টি ছিদ্র রয়েছে। এগুলো কোনো সংকেত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ ছাড়া এ টাকা কোথা থেকে এসেছে তা তদন্ত করে দ্রুতই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, রোববার ভোর ৫টার দিকে রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া থানার ভদ্রা এলাকার একটি গলির রাস্তায় ব্যাগভর্তি টাকা পড়ে ছিল। বেলা ১১টার দিকে কয়েকজন শিক্ষার্থী টাকাগুলো উদ্ধার করে থানায় জমা দেন। 

এ সময় নগরীর বড়কুঠি ভূমি অফিসের সহকারী কমিশনার (ভূমি) এবং সেনাবাহিনীর ওয়ারেন্ট অফিসার ইকবাল হোসেনের উপস্থিতিতে বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ টাকাগুলো তাদের কাছ থেকে বুঝে নেন।

থানায় টাকা জমা দিতে আসেন নাটোরের সিংড়া উপজেলার রহমত ইকবাল ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আকাশ আলী, আক্কাস আলীসহ কয়েকজন শিক্ষার্থী। তারা বর্তমানে ভদ্রা এলাকায় থাকেন।

বিজ্ঞাপন

তারা জানান, সাধারণ মানুষের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য তারা রাতভর নগরীর ভদ্রা এলাকায় অবস্থান করছিলেন। রাতের ডিউটি শেষে ভোরে বাসায় ফিরছিলেন তারা। এ সময় ওই এলাকার একটি গলির রাস্তায় ব্যাগটি পড়ে থাকতে দেখেন। ব্যাগে লাথি দিয়ে তারা বুঝতে পারেন ভেতরে কিছু আছে। তখন তারা ব্যাগটি খুলে অনেকগুলো টাকা দেখতে পান। পরে ব্যাগের ভেতরে ১০০০ টাকার নোটের ১৮টি বান্ডিল পান।

তারা আরও বলেন, যে ধাতব বস্তুটি আমার পাই সেটি সোনালী রঙের। তবে স্বর্ণের কি না সেটি যাচাই করা যায়নি। এদিকে ওই বস্তুটিতে মোট ১৮টি ছিদ্র আছে। টাকার বান্ডিলও আছে ১৮টি। এটি কোনো সংকেতও হতে পারে।

রাজশাহীর বোয়ালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদ পারভেজ বলেন, একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে টাকাগুলো তারা বুঝে নিয়েছেন। বিষয়টি অবশ্যই খতিয়ে দেখা হবে। এ টাকার মালিক কে, এগুলো অবৈধ কি না কিংবা কোনো অপরাধী এ টাকা বহনের সময় ফেলে গেছে কি না, তা তদন্ত হবে। এ ছাড়া আদালতের অনুমতি নিয়ে টাকাগুলো দ্রুতই রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে।

ওসি আরও বলেন, টাকার সঙ্গে সোনালী রঙের একটি ধাতব বস্তুও জমা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে আমরা যাচাই করে জেনেছি এটি সোনার নয়। তবে তাতে অনেকগুলো ছিদ্র আছে। এই বিষয়টি আমরা তদন্ত করে দেখছি।

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission