শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপ: আ.লীগ নেতার নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা

আরটিভি নিউজ

বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪ , ১০:২০ এএম


শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপ: আ. লীগ নেতার নামে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা
ফাইল ছবি

ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ফোনালাপ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাতের ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হওয়ার অভিযোগে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জাহাঙ্গীর কবিরের (৬০) বিরুদ্ধে রাষ্টদ্রোহ মামলা হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বরগুনা সদর থানার পরিদর্শক (এসআই) শামীম আহম্মেদ বাদী হয়ে মামলাটি করেন। মামলার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মো. জাহাঙ্গীর কবিরের কথোপকথনটি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অংশ বলে দাবি করেন বাদী। 

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুর হাসান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বিজ্ঞাপন

গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। পরে  ১২ আগস্ট তার সঙ্গে জাহাঙ্গীর কবিরের একটি ফোনালাপের অডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর ঢাকা থেকে আসা পুলিশের একটি দল, বরগুনা সদর থানা পুলিশ ও গোয়েন্দা পুলিশ যৌথভাবে অভিযান চালিয়ে জাহাঙ্গীর কবিরকে আটক করে।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, শেখ হাসিনার সঙ্গে জাহাঙ্গীর কবিরের ফোনালাপের অডিওটি যড়যন্ত্রের অংশ। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে উৎখাত করার জন্য বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবিরের নেতৃত্বে ১০ আগস্ট বরগুনা শহরে বিক্ষোভ মিছিল হয়। সেই মিছিল-সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জাহাঙ্গীর কবিরের বাসায় যান। পাল্টা অভ্যুত্থানের মাধ্যমে তারা বর্তমান সরকারকে উৎখাত করার হুমকি দেন প্রকাশ্যে। সেই যড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে গত ১২ আগস্ট ভারতে অবস্থানরত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে জাহাঙ্গীর কবিরের কথা হয়। এই ঘটনা বাংলাদেশের প্রচলিত আইন অনুসারে রাষ্ট্রদ্রোহের অপরাধ।

বরগুনা সদর থানার ওসি জগলুর হাসান বলেন, জাহাঙ্গীর কবির পৃথক দুটি চাঁদাবাজি মামলায় বরগুনা জেলা কারাগারে আছেন।

বিজ্ঞাপন

আরটিভি/এসএইচএম-টি

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন

Loading...


© All Rights Reserved 2016-2025 | RTV Online | It is illegal to use contents, pictures, and videos of this website without authority's permission