ভুল চিকিৎসায় মা ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ
নরসিংদীর পলাশে ঘোড়াশাল হেলথ্ কেয়ার হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় মা ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর চালিয়েছে নিহতের স্বজনরা। ঘটনার পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় চিকিৎসকসহ কর্মকর্তারা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আরমিনা বেগম ঘোড়াশাল শান্তানপাড়া গ্রামের অটোরিকশা চালক মাহফুজ মিয়ার স্ত্রী।
নিহতের স্বামী মাহফুজ মিয়া জানান, ভোরে তার স্ত্রীর প্রসব বেদনা শুরু হলে সকাল ৭ টায় ঘোড়াশাল হেলথ্ কেয়ার হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে প্রথমে স্বাভাবিক প্রসবের চেষ্টা চালানো হয়। পরে বেলা ১০টার দিকে হাসপাতালের কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে সিজার করতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। সেখানে ভুলভাবে অ্যানেসথেসিয়া প্রয়োগের কারণে স্টোক করে তার স্ত্রী মারা যায়। মারা যাওয়ার পরও প্রায় ১ ঘণ্টা গর্ভের সন্তান জীবিত ছিল। কিন্তু ডাক্তাররা তাকেও বাঁচানোর কোনো চেষ্টা করেনি।
এদিকে ভুল চিকিৎসায় মা ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর পর হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক, নার্স ও কর্মকর্তারা। এ সময় ক্ষিপ্ত হয়ে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় স্বজন ও এলাকাবাসী। একই সঙ্গে হাসপাতালের পরিচালক ডা. তানভীর কবিরকে অবরুদ্ধ করে রাখে বিক্ষুব্ধরা। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে আসে পলাশ থানা পুলিশ। এ সময় বিক্ষুব্ধ-স্বজনরা দ্বায়িদের শাস্তির দাবি জানান।
এলাকাবাসী অভিযোগ করেন, ঘোড়াশাল হেলথ্ কেয়ার হাসপাতালে পূর্বেও ভুল চিকিৎসায় একাধিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। হাসপাতালের পরিচালক ডা. তানভীর কবির অনেক সময় সিজার অপারেশনের রোগীদের গাইনি সার্জন দিয়ে অপারেশন না করিয়ে নিজেই অপারেশন করতেন।
এ প্রসঙ্গে বিষয়ে নরসিংদী সিভিল সার্জন সৈয়দ মো. আমিরুল হক জানান, হাসপাতালে মা ও গর্ভের সন্তানের মৃত্যুর খবর পেয়ে বিষয়টি তদন্ত করতে পলাশ উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তদন্তের পর দোষী প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পলাশ থানার ওসি মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এ ব্যাপারে থানায় কোনো অভিযোগ দেওয়া হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরটিভি/এসএপি-টি
মন্তব্য করুন