কুমিল্লার নিমসার বাজারে চার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ
অবশেষে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে কুমিল্লার নিমসার বাজারে অভিযান চালিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় ও রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে দেশের অন্যতম বৃহৎ এ কাঁচাবাজারটিতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে রেখেছিল প্রভাবশালী মহল। ফলে দেশের ব্যস্ততম ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশ ঘিরে গড়ে ওঠা এই বাজারের অবৈধ স্থাপনার কারণে প্রায়ই যানজট লেগে থাকত।
উচ্ছেদ অভিযানের অংশ হিসেবে প্রথম ধাপে নিমসার বাজারে সরকারি জমি দখল করে গড়ে তোলা চার শতাধিক স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল ৯টায় জেলা প্রশাসন এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। এর আগে অবৈধ দোকানপাট সরিয়ে নিতে বলা হয়।
অভিযানে নেতৃত্ব দেন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মঈন উদ্দিন এবং সড়ক ও জনপথের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া। এ ছাড়াও তাদের সঙ্গে রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস কুমিল্লা হাইওয়ে পুলিশ এবং জেলা পুলিশের সদস্যরা।
অভিযোগ রয়েছে, মহাসড়কের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ভাড়া আদায় করছিল একটি অসাধু চক্র। এ ছাড়া প্রতিবার দখল উচ্ছেদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই ওই চক্রটি আবারও সরকারি জায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করে মহাসড়কে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের দুই পাশে দেশের কাঁচা সবজির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাজার নিমসারে অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে মহাসড়কের জায়গা দখল করা হয়েছিল। এ ছাড়া অস্থায়ীভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে মহাসড়কের বিভাজক ব্যবহার করা হচ্ছিল। যে কারণে প্রতিনিয়ত এই এলাকায় যানজটে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে সাধারণ মানুষকে। তাই সড়ক ও জনপথ বিভাগ এবং জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এ ছাড়া আরও অভিযোগ রয়েছে, রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে মহাসড়কের পাশে সার্ভিস লেনের জায়গা দখল করে ভাড়া দেওয়া হয়েছিল বেশ কয়েকটি দোকান। সেসব দোকান থেকে অবৈধভাবে টাকা উত্তোলন নিয়েও বিভিন্ন সময়ে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। সম্প্রতি হাইকোর্টের নির্দেশনা ও প্রশাসনের সিদ্ধান্তে এই বাজার থেকে খাজনা আদায় বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সিনিয়র সহকারী কমিশনার মো. মঈন উদ্দিন জানান, সাধারণ মানুষের ভোগান্তি রোধেই এই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। এক দিনে সম্ভব না হলে আমরা আবারও এখানে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করব।
আরটিভি/এফআই/এসএ
মন্তব্য করুন