দাউদকান্দির পৌর বাজারে বিভিন্ন ফার্মেসিতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান
নীতিমালা অমান্য ও মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ রাখার দায়ে কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌর বাজারের স্বপন মেডিকেলকে ১০ হাজার টাকা ও পুস্প মেডিকেল হলকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
বুধবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে দাউদকান্দি পৌর বাজারের বিভিন্ন ফার্মেসিতে অভিযান চালিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ও বিক্রয় নিষিদ্ধ ওষুধ এবং রেজিস্ট্রার চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ বিক্রির অভিযোগে জেলা কার্যালয়ের ওষুধ প্রশাসন কুমিল্লার পক্ষে ওষুধ তত্ত্বাবধায়ক মো. শাহজালাল ভুঁইয়া ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন।
এ সময় এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাইমা ইসলাম ও সহকারী কমিশনার ভূমি রেদওয়ান ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরটিভি/ডিসিএনই
মন্তব্য করুন
আখাউড়ায় নারীকে পুড়িয়ে হত্যা, যুবক গ্রেপ্তার
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় এক নারীকে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীর বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ ফারহান রনি নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
রনি উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী বলে জানা গেছে।
তবে নিহত নারীর নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার মাথাহীন দেহের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। হাতে চুরি থাকায় দেহটি নারী বলে ধারণা করা হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, গাজীর বাজার এলাকায় এনামুলের বাড়ি থেকে রাজহাঁস চুরি হয়। সকালে হাঁস খুঁজতে গিয়ে শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার পরিত্যক্ত টিনের ঘর থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখেন। সেখানে থাকা ফারহান রনি পাতা পোড়াচ্ছেন বলে জানান। তার কথা বিশ্বাস না হলে হাঁসের মালিক তার ভাই রোমানকে নিয়ে ঘরে কী আছে, সেটি দেখতে চান। এ সময় ফারহান ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের মারার হুমকি দেন। সন্দেহ ঘনীভূত হলে তারাসহ গ্রামের লোকজন গর্তে পুড়তে থাকা মরদেহ দেখতে পান। পরে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ওসি (তদন্ত) শাহীনূর ইসলাম বলেন, ‘মরদেহের বেশির ভাগ অংশ পুড়ে গেছে। পরিচয় শনাক্তে সিআইডি ও পিবিআইকে খবর দেওয়া হয়েছে।’
আরটিভি/এমকে-টি
গর্তে ঢুকিয়ে নারীকে পুড়িয়ে হত্যা, পরিচয় শনাক্ত
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় গর্তে ঢুকিয়ে পুড়িয়ে ফেলা নারীর মাথা উদ্ধার করে পরিচয় শনাক্ত করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে ঘটনাস্থলের পাশে একটি পুকুর থেকে তার মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।
ওই নারীর নাম হরলুজা বেগম (৫০)। তিনি উপজেলার হীরাপুর এলাকার নুরুল ইসলাম বেপারীর স্ত্রী।
এ ঘটনায় এলাকাবাসী ফারহান রনি নামে এক যুবককে ধরে থানায় সোপর্দ করেছেন। ফারহান উপজেলার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি চিহ্নিত মাদকসেবী।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার গাজীর বাজার এলাকার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে রাজহাঁস চুরি হয়। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে হাঁস খুঁজতে এসে শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার জায়গায় পরিত্যক্ত টিনের ভাঙ্গা ঘর থেকে ধোঁয়ার গন্ধ পান তিনি। কিসের ধোঁয়া জানতে চাইলে সেখানে থাকা ফারহান রনি জানান যে তিনি পাতা পোড়াচ্ছেন। এ কথায় বিশ্বাস না হলে হাঁসের মালিক দুই ভাই এনামুল ও রোমান এবং তাদের চাচাতো ভাই উবায়দুল ঘরের ভেতরে কি দেখতে চান। এ সময় ফারহান ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের মারার হুমকি দেন। এতে সন্দেহ হলে তারাসহ গ্রামের লোকজন গিয়ে গর্তে পুড়তে থাকা লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ বের করে।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ছমিউদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে আগুনে পোড়া ওই মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। মাথা বিচ্ছিন্ন মরদেহ পুরোপুরি পুড়ে যাওয়ায় প্রথমে তার পরিচয় পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে তার পরিচয় শনাক্তে সিআইডি ও পিবিআই কাজ করে। দুপুরে ঘটনাস্থলের পাশের একটি পুকুর থেকে ওই নারীর কেটে ফেলা মাথা উদ্ধার করা হলে তার পরিচয় শনাক্ত করা হয়। এ ঘটনায় একজনকে আটক করা হয়েছে। আটক যুবক ভোরে ওই নারীকে ডেকে এনেছিলেন। তবে কী কারণে তাকে হত্যা করা হয়, তা এখনো জানা যায়নি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
আরটিভি/এএএ/এস
নারীকে গর্তে ঢুকিয়ে পুড়িয়ে হত্যার কারণ জানা গেল
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়ায় গর্তে ঢুকিয়ে পুড়িয়ে ফেলা হরলুজা (৫০) নামের এক নারীর মরদেহ করা হয়েছে। এ ঘটনায় রনি নামের একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) সকালে আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের গাজীর বাজার এলাকা থেকে ওই নারীর পোড়া দেহ এবং বেলা ৩টার দিকে মাথা উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, প্রেমে বাধা দেওয়ার জেরে ওই নারীকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেপ্তার যুবকের নাম ফারহান ভূঁইয়া রনি। তিনি এলাকার দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহনেওয়াজ ভূঁইয়া শানুর ছেলে রনি। তিনি এলাকায় মাদক চোরাকারবারের সঙ্গে জড়িত। হরলুজা একই ইউনিয়নের হিরাপুর কলোনি এলাকার নুরুল ইসলামের স্ত্রী। এই দম্পতির তিন মেয়ে আছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার গাজীর বাজার এলাকার এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে রাজহাঁস চুরি হয়। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে হাঁস খুঁজতে এসে শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার জায়গায় পরিত্যক্ত টিনের ভাঙ্গা ঘর থেকে ধোঁয়ার গন্ধ পান তিনি। কিসের ধোঁয়া জানতে চাইলে সেখানে থাকা ফারহান রনি জানান যে তিনি পাতা পোড়াচ্ছেন। এ কথায় বিশ্বাস না হলে হাঁসের মালিক দুই ভাই এনামুল ও রোমান এবং তাদের চাচাতো ভাই উবায়দুল ঘরের ভেতরে কি দেখতে চান। এ সময় ফারহান ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের মারার হুমকি দেন। এতে সন্দেহ হলে তারাসহ গ্রামের লোকজন গিয়ে গর্তে পুড়তে থাকা লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ বের করে।
ওই নারীর পুরো শরীর পুড়ে যাওয়ায় এবং দেহে মাথা না থাকার কারণে প্রথমে লাশের লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারেনি পুলিশ। পোড়া হাতে চুড়ি থাকায় দেহটি প্রাথমিকভাবে নারীর বলে ধারণা করা হয়। দুপুরে মাথা উদ্ধারের পর তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পেরেছে পুলিশ। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে রনিকে আটক করা হয়। আটক ওই যুবকের দেওয়া তথ্যমতে, ঘটনাস্থলের ২০০ থেকে ৩০০ গজ দূরে পুকুরের পাশের একটি ফসলি জমি খনন করে মাটির নিচ থেকে মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শাহিনুর ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি, প্রেমে বাধা দেওয়ায় ওই নারীকে তার দেহ থেকে মাথা আলাদা করে হত্যা করা হয়। মরদেহ পুড়িয়ে গুম করার চেষ্টা করছিলেন রনি।’
আরটিভি/এসএপি
প্রেমিকের মৃত্যুর খবরে প্রেমিকার আত্মহত্যা
প্রেমিকের আত্মহত্যার খবর পেয়ে গ্যাস ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করেছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের এক সংগীতশিল্পী।
মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) আত্মহত্যা করেন প্রেমিকা। এর আগে সোমবার গভীর রাতে আত্মহত্যা করেন প্রেমিক।
জানা গেছে, সোমবার গভীর রাতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ এলাকার বিকাশ কর্মকারের ছেলে মদন কর্মকার বগুড়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। তিনি সেখানে একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করতেন। মঙ্গলবার প্রেমিক মদনের মৃত্যুর খবর পেয়ে বেলা ১১টার দিকে বাড়িতে গ্যাস ট্যাবলেট খান শাহজাদপুর সরকারি কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ও সংগীতশিল্পী সুদীপ্তা দাস কেকা। পরে পরিবারের লোকজন বুঝতে পেরে দ্রুত স্থানীয় পিপিডি হাসপাতালে নিলে তারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করতে বলেন। পরবর্তীতে সেখানে নিলে চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়া শহীদ জিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিতে বলেন। সেখানে নেওয়ার পথে তিনি বিকেলে মারা যান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় এক যুবক বলেন, ‘মদন কর্মকার বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও সুদীপ্তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। তবে সুদীপ্তাকে তিনি বুঝতে দেননি যে তিনি বিবাহিত। মদনের কর্মস্থল বগুড়ায় হওয়ায় সুদীপ্তা মাঝে মধ্যেই সেখানে গিয়ে দেখা করতেন।’
শাহজাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম আলী বলেন, ‘ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। সুদীপ্তা দাস কেকার মরদেহ এখন থানায় রয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রেমিকের মৃত্যুর খবর শুনে তিনি আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন। তদন্ত শেষে এ ঘটনার প্রকৃত কারণ জানা যাবে।’
আরটিভি/এসএপি
জাহাজের ৭ জনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হত্যা: র্যাব
চাঁদপুরের হাইমচরে মেঘনা নদীতে সারবহনকারী এমভি আল বাখেরা জাহাজে ৭ জনকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) ঘাতক আকাশ মণ্ডল ইরফানের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মুনীম ফেরদৌস।
তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে বেতন-ভাতা না পাওয়া ও দুর্ব্যবহারের ক্ষোভ থেকে আকাশ মণ্ডল ইরফান জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়াসহ সবাইকে হত্যা করে।
কর্নেল মুনীম ফেরদৌস বলেন, জাহাজের মাস্টার গোলাম কিবরিয়া দীর্ঘ ৮ মাস ধরে কোনো প্রকার বেতন ভাতা দিতেন না, এমনকি তিনি দুর্ব্যবহারও করতে। এসবের ক্ষোভ থেকে আকাশ মন্ডল ইরফান সবাইকে হত্যা করেন।
তিনি জানান, ইরফান প্রথমে খাবারের মধ্যে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে সবাইকে অচেতন করে। পরে হাতে গ্লাভস পড়ে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে সবাইকে কুপিয়ে হত্যা করে। এরপর সবাইকে কোপানের পর মৃত্যু নিশ্চিত করে নিজে জাহাজ চালিয়ে হাইম চর এলাকায় এসে অন্য একটি ট্রলারে করে পালিয়ে যান।
মাস্টার গোলাম কিবরিয়াকে হত্যার সময় অন্যরা দেখে ফেলায় ইরফান তাদেরও হত্যা করে বলে জানান এই র্যাব কর্মকর্তা।
এর আগে, গত রোববার চাঁদপুরের হরিণা ফেরিঘাট এলাকায় মেঘনা নদীতে থেমে থাকা একটি জাহাজে সাত জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
আরটিভি/এসএপি
গর্তে ঢুকিয়ে নারীকে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় নতুন মোড়
প্রেমে বাধা দেওয়ার জেরে নয়, চুরি করে আনা রাজহাঁস রান্না করতে রাজি না হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় নারীকে হত্যার পর মরদেহ পোড়ানোর ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (২৫ ডিসেম্বর) এ ঘটনায় দায়ের করার মামলার বাদী ও নিহত শারমিন বেগমের বড় মেয়ে রুমা আক্তার এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানান, রনি তার মায়ের অসুস্থতার কথা বলে ডেকে নিয়ে চুরি করা রাজহাঁস রান্না করে দিতে বলেন। এতে রাজি না হওয়ায় রনি ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মারধর করে নৃশংসভাবে জবাই করে এবং পরে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এর আগেও অনেকবার অভিযুক্ত রনি হাঁস চুরি করে নিয়ে তার মাকে দিয়ে রান্না করিয়েছেন।
রুমা আক্তার আরও জানান, প্রায় ৪০ বছর ধরে রনির বাবা স্থানীয় যুবলীগ নেতা শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার হীরাপুর গ্রামের একটি জায়গায় ঘর করে বসবাস করছিলেন তার মা শারমিন বেগম ও বাবা নুরুল ইসলাম। আগে শাহনেওয়াজের বাড়ি কাজকর্মে সহযোগিতা করতেন তার মা। এখন ভিক্ষাবৃত্তি ও মানুষের বাড়িতে কাজ করে দিনাতিপাত করতেন তিনি। ঘটনার দিন ভোরে রনি তার মায়ের অসুস্থতার কথা বলে শারমিনকে ডেকে নিয়ে যায়।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার গাজীর বাজার এলাকার এক ব্যক্তির রাজহাঁস চুরি হয়। মঙ্গলবার সকাল ৭টার দিকে হাঁস খুঁজতে এসে শাহনেওয়াজ ভূঁইয়ার জায়গায় পরিত্যক্ত টিনের ভাঙা ঘর থেকে ধোঁয়ার গন্ধ পান তিনি। কীসের ধোঁয়া, জানতে চাইলে সেখানে থাকা ফারহান রনি জানান যে, তিনি পাতা পোড়াচ্ছেন। তার কথা বিশ্বাস না হলে হাঁসের মালিক দুই ভাই এনামুল ও রোমান এবং তাদের চাচাত ভাই উবায়দুল ঘরের ভেতরে কী আছে, সেটি দেখতে চান। এ সময় ফারহান ক্ষুব্ধ হয়ে তাদের মারার হুমকি দেন। এতে সন্দেহ হলে তারাসহ গ্রামের লোকজন গিয়ে গর্তে পুড়তে থাকা লাশ দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ বের করে।
ওই নারীর পুরো শরীর পুড়ে যাওয়ায় এবং দেহে মাথা না থাকার কারণে প্রথমে লাশের লিঙ্গ নির্ধারণ করতে পারেনি পুলিশ। পোড়া হাতে চুড়ি থাকায় দেহটি প্রাথমিকভাবে নারীর বলে ধারণা করা হয়। দুপুরে মাথা উদ্ধারের পর তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পেরেছে পুলিশ। সে সময় ঘটনাস্থল থেকে রনিকে আটক করা হয়। আটক ওই যুবকের দেওয়া তথ্যমতে, ঘটনাস্থলের ২০০ থেকে ৩০০ গজ দূরে পুকুরের পাশের একটি ফসলি জমি খনন করে মাটির নিচ থেকে মাথা উদ্ধার করে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, রনি মাদকাসক্ত এবং চুরি-ছিনতাইয়ের সঙ্গেও জড়িত।
এ বিষয়ে আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন বলেন, এ ঘটনায় নিহত শারমিন বেগমের বড় মেয়ে রুমা আক্তার বাদী হয়ে ফারহান রনিকে একমাত্র আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রনি একেক সময় একেক কথা বলেছেন।
আরটিভি/এসএপি-টি
পানির ট্যাংকে লুকিয়ে ছিলেন আ.লীগ নেত্রী, এরপর যা ঘটল
চট্টগ্রাম নগরের চকবাজার থেকে আওয়ামী লীগ নেত্রী নাজনীন সরওয়ার কাবেরীকে আটক করা হয়েছে। অভিযানের সময় আটক এড়াতে ওই এলাকার একটি ভবনের ছাদে থাকা পানির ট্যাংকে লুকিয়েছিলেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে থানার দেবপাহাড় এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
কাবেরী কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি কক্সবাজারের একাধিক আসন থেকে মনোনয়ন ফরম নিয়েছিলেন। তিনি কক্সবাজার-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমলের ছোট বোন।
চকবাজার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হুমায়ুন কবির গণমাধ্যমকে বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী কাবেরীকে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে আটক করা হয়েছে। তিনি বর্তমানে চকবাজার থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছেন।
আরটিভি/এএএ/এস