পর্যটকদের সাজেক ভ্রমণে ফের বিধি-নিষেধ দিল প্রশাসন
পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে রাঙ্গামাটির পার্বত্য জেলার বাঘাইছড়ির সাজেক ভ্রমণে ফের বিধি-নিষেধ দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দিনভর সাজেক ও মাচালং এলাকায় সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জনসংহতি সমিতি ও প্রসীত খীসার নেতৃত্বাধীন ইপিডিএফ’র মধ্যে গোলাগুলির পর বুধবার (৪ ডিসেম্বর) থেকে এই বিধি-নিষেধ দিয়ে এক বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে।
এতে জানানো হয়, সাজেক ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার আইনশৃঙ্খলার সার্বিক পরিস্থিতি এবং এসব এলাকায় পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনা করে ৪ ডিসেম্বর সাজেকে পর্যটকদের ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করা হলো।
বর্তমানে প্রায় পাঁচ শতাধিক পর্যটক সাজেক অবস্থান করছেন জানিয়ে সাজেক রিসোর্ট মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মতিজয় ত্রিপুরা বলেন, সাজেক ও মাচালংয়ের ৭নং ওয়ার্ডের শীপপাড়া এলাকায় গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে, যা পর্যটন কেন্দ্র থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার দূরে। ওই গোলাগুলির ঘটনার কারণে বিকেলে প্রায় ১০টি পর্যটকবাহী গাড়ি সাজেক ছেড়ে যায়নি। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে বলেও দাবি করেন তিনি।
দুই আঞ্চলিক দলের মধ্যে গত কয়েকদিন ধরে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে দাবি করে খাগড়াছড়ি জিপগাড়ির লাইনম্যান মো. ইয়াছিন আরাফাত জানান, সকালে সাজেক থেকে ২০ থেকে ২৫টি গাড়ি খাগড়াছড়ি ফিরেছে। তবে পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বিকেলে কোনো পর্যটকবাহী গাড়ি সাজেক থেকে খাগড়াছড়ি ফেরেনি এবং পর্যটক নিয়ে কোনো গাড়ি সাজেক যায়নি বলে জানান তিনি।
ফের বিধি-নিষেধ আরোপের বিষয়টি নিশ্চিত করে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান জানান, দুই আঞ্চলিক দলের গোলাগুলির ঘটনায় পর্যটকদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে বুধবার একদিন সাজেকে পর্যটক ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে পরে আবার সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। এছাড়া বর্তমানে যারা সেখানে অবস্থান করছেন তাদের বুধবার নিরাপদে ফিরিয়ে আনা হবে বলেও জানান তিনি।
আরটিভি/কেএইচ
মন্তব্য করুন