নলছিটিতে ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন আক্তার কারাগারে
ঝালকাঠির নলছিটির সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী জিয়াউল ইসলাম ওরফে ফুয়াদ হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন আক্তারকে (৪৮) ফের কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) সকালে ঝালকাঠির সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে জামিনের আবেদন করলে বিচারক মো. রুবেল শেখ তাঁকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করছেন আদালত পরিদর্শক পুলক চন্দ্র রায়।
ফুয়াদ হত্যা মামলায় কাজী জেসমিন আক্তারকে গত ২৯ মার্চ সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামের কাজী বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেসমিন আক্তার হাইকোর্টের জামিনের মেয়াদ শেষ হলে আজ নিম্ন আদালতে হাজির হয়ে আইনজীবীর মাধ্যমে জামিনের আবেদন করেন।
কাজী জেসমিন আক্তার নলছিটির সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান ছিলেন। ক্ষমতায় থাকাকালে ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাজী জিয়াউল ইসলাম একসময় চেয়ারম্যান কাজী জেসমিনের সমর্থক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী জেসমিন আক্তারকেও গ্রেপ্তার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৭ জানুয়ারি রাতে সিদ্ধকাঠি ইউনিয়নের চৌদ্দবুড়িয়া গ্রামের মসজিদ বাড়ি এলাকায় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের বিজয় মিছিল শেষে বাড়ি ফেরার পথে সিদ্ধকাঠি ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাজী জিয়াউল ইসলাম ফুয়াদকে (৪০) চৌদ্দবুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় ৮ জানুয়ারি রাতে নিহত জিয়াউলের বড় ভাই ফয়সাল কাজী অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে নলছিটি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে ১১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় উপজেলার খাজুরিয়া এলাকার তিন রাস্তার মোড় থেকে সাইফুল ইসলাম নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
ফুয়াদ কাজী হত্যায় মামলায় এর আগে গ্রেপ্তার হওয়া তিনজনের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দির ভিত্তিতে কাজী জেসমিন আক্তারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ মামলায় দীর্ঘদিন হাইকোর্ট থেকে জামিন থাকার পরে আদালতের নির্দেশে সোমবার দুপুরে তাকে ঝালকাঠির কারাগারে পাঠানো হয়।
আরটিভি/এমকে
মন্তব্য করুন