• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১
logo

কৃষকের হাড়ভাঙা পরিশ্রম সার্থক, মেডিকেলে চান্স পেয়েছেন মেয়ে

হিলি প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮:২৫
ছবি : আরটিভি

দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার বিশাপাড়া গ্রামের কৃষক পরিবারের মেয়ে লায়লা খাতুন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ার সময় স্বপ্ন দেখেছিল বড় হয়ে ডাক্তার হবেন। সেই স্বপ্ন পূরণে কঠোর পরিশ্রম দিয়ে পড়াশোনা করেছেন তিনি। ২০২৪ সালে এইচএসসি পাস করে অংশ নেন মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায়। সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে ২৯৬তম মেধাতালিকা নিয়ে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে ভর্তির জন্য মনোনীত হয়েছেন। নিজের স্বপ্ন পূরণের পাশাপাশি দরিদ্র কৃষক পরিবারের মেয়ে লায়লা বাবা মায়ের মুখেও হাসি ফুটিয়েছেন। তার স্বপ্ন একদিন সুচিকিৎসক হয়ে গ্রামের অসহায় মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করবেন।

রোববার (১৯ জানুয়ারি) প্রকাশিত এমবিবিএস প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের পর তার পরিবার ও আত্মীয়-স্বজনরা খুশিতে আত্মহারা। লায়লা খাতুন হাকিমপুর উপজেলার বোয়ালদাড় ইউনিয়নের বিশাপাড়া গ্রামের কৃষক এনামুল হকের মেয়ে। বাবা একজন কৃষক এবং মা গৃহিণী। তার একজন বড় ভাই রয়েছে।

শিক্ষা জীবনের শুরু উপজেলার ডলি মেমোরিয়াল স্কুলে নার্সারি পর্যন্ত ও বিশাপাড়া গ্রামের প্রাইমারী স্কুল থেকে পিএসসিতে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন। পরে বিশাপাড়া উচ্চবিদ্যালয় থেকে ২০২২ সালে এসএসসিতে এবং ২০২৪ সালে হাকিমপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে জিপিএ-৫ পেয়ে উত্তীর্ণ হন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষাজীবনে ধারাবাহিক মেধা এবং কঠোর পরিশ্রম তাকে এই অসামান্য সাফল্যের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে এসেছে। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার প্রতি ছিল মনোযোগী। তার মেধার কৃতিত্ব রেখেছেন সর্বত্র। দরিদ্র কৃষক বাবা এনামুল হক কষ্ট করে মেয়ের পড়াশোনা করিয়েছেন। সবসময় তার ইচ্ছে ছিল শত কষ্টের মধ্যে মেয়েদের পড়াশোনা চালিয়ে নেবেন। তার কষ্ট ও শ্রম আজ সার্থক বলে মনে করছেন।

লায়লা খাতুনের বাবা এনামুল হক বলেন, আমার মেয়ে আজ আমাদের মুখ উজ্জ্বল করেছে। আমরা গর্বিত এবং আশা করি সে একদিন দেশের একজন সেরা চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করবে। আমার এতদিনের পরিশ্রম আজ সার্থক।

লায়লা খাতুন তার সাফল্যের জন্য বাবা-মা, শিক্ষকদের এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, আমার বাবা মা সবসময় কষ্ট করে আমার পড়াশোনা করিয়েছেন। আমি চাই একজন সুচিকিৎসক হয়ে গ্রামে ফিরে আসবো। আমার গ্রামের মানুষের চিকিৎসা নিশ্চিত করবো। এখানকার দরিদ্র মানুষেরা চিকিৎসার জন্য খুবই কষ্ট করে। দরিদ্র পরিবারের সন্তান হয়ে পড়াশোনা চালিয়ে নিতে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আমি আমার শিক্ষক, ভাই ও পরিবারের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

আরটিভি/এএএ

মন্তব্য করুন

Bangal
rtv Drama
Radhuni
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বিরামপুরে ১২টি স্বর্ণের বারসহ একজন আটক
মেডিকেলে ভর্তি কার্যক্রমে মুক্তিযোদ্ধা কোটা, যা জানাল স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়
মেডিকেলের ফল পুনর্নিরীক্ষণের আবেদন শুরু মঙ্গলবার, আবেদন যেভাবে
‘কোটা না মেধা’ স্লোগানে উত্তাল শহীদ মিনার