বুড়িগঙ্গা নদীর খালগুলো ডাস্টবিন ও নর্দমায় পরিণত হয়েছে: সারজিস আলম
বুড়িগঙ্গা নদীর খালগুলো নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক কমিটির মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, কেরানীগঞ্জে আসার পথে দেখলাম খালগুলো ডাস্টবিনের মতো, না হয় নর্দমার মতো পরিণত হয়েছে। খালগুলো যদি সুন্দরভাবে খনন করা যেত, তাহলে হয়তো কেরানীগঞ্জ একটি পর্যটন এলাকা হিসেবে গড়ে উঠতে পারত।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনার চত্বরে এক পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, খাল খনন ও কেরানীগঞ্জের উন্নয়নে বাজেট এসেছে। কিন্তু ভণ্ড পীর ও তাদের মনিবেরা বাজেটের টাকা দেশের বাইরে পাচার করেছে। এখন সেই ভণ্ড পীরেরা অপকর্মের দায়ে জেলখানায় রয়েছে। সেখানে থেকে তারা আবারও সবাইকে প্রস্তুত থাকতে বলছে। এসব ভণ্ড পীর, যাদের নিজেদের অস্তিত্ব নেই, যারা নিজেরাও জানে না বাংলার মানুষের কত বড় ঘৃণার জায়গায় তারা রয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম এই সমন্বয়ক বলেন, এখানকার তরুণেরা বিভিন্ন অপ্রত্যাশিত কাজে লিপ্ত হচ্ছেন, এমনটা বলা হচ্ছে। কিন্তু এই তরুণেরা যে মাঠগুলোতে খেলবেন ও যে জায়গাগুলোতে সুস্থ ও স্বাভাবিকভাবে বিচরণ করবেন, সেই জায়গাগুলো হায়েনারা দখল করে নিয়েছে।
তিনি বলেন, সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন গড়তে কেরানীগঞ্জে যে উপাদানগুলো প্রয়োজন ছিল, সেগুলো তারা দখল করেছে। আবার তারাই কেরানীগঞ্জে ফিরে আসার ইচ্ছা ব্যক্ত করছে।
জাতীয় নাগরিক কমিটির এই মুখ্য সংগঠক বলেন, ৬-৭ মাস আগে খুনি হাসিনার সময় কেরানীগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ও প্লট নিয়ে বাণিজ্য চলত। দুঃখের বিষয়, আজও কেরানীগঞ্জে সেই চাঁদাবাজি ও প্লট বাণিজ্য চলছে।
তিনি আরও বলেন, বিগত সময়ে কেউ বছর ও যুগ ধরে অভুক্ত ছিল, এখন তারা দুর্বৃত্তদের মতো ভুক্ত হয়ে উঠেছে।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী হাসিবুল ইসলাম, রাসেল আহমেদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি আল-আমিন, মিনহাজ হোসেন, জাবেদ হোসেন, সায়মন চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরটিভি/আইএম
মন্তব্য করুন