মুন্সিগঞ্জে দুগ্রুপের ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২
মুন্সিগঞ্জের কালীরচর সংলগ্ন মেঘনা নদীতে বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বে কিবরিয়া-কানা জহির গ্রুপ ও নৌপুলিশের গোলাগুলিতে দুইজন নিহত হয়েছে। এছাড়া আরও ১১ জন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাতটার দিকে মুন্সীগঞ্জ সদর ও চাঁদপুরের মোহনপুর সীমানাধীন চড় আব্দুল্লাহপুর মেঘনা নদীতে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রিফাত (২৬) মতলব উত্তরের বাসিন্দা ও রাসেল ফকির (২৮) মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার ভাসানচন গ্রামের আলম ফকিরের ছেলে। গুরুতর আহত আইয়ুব আলী (৩৫) মাদারীপুর জেলার শিবচর এলাকার মান্নান হাওলাদার ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেঘনার নৌ-পথের নিয়ন্ত্রণ ও বালু উত্তোলন নিয়ে কিবরিয়া ও কানা জহির দু’পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল। তাদের বিরুদ্ধে বালুদস্যুতা ও ডাকাতির অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর কিবরিয়া মিজি ও তার লোকজন মুন্সীগঞ্জ-মোহনপুর সীমানাধীন চর বাংলাবাজার এলাকায় চাঁদপুর নৌপুলিশের সহযোগিতায় ২৫ থেকে ২৬টি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন শুরু করলে স্থানীয়রা একাধিকবার বাধা দিয়েও কোনো প্রতিকার পায়নি।
এর মধ্যে আজ (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যার দিকে ড্রেজার বসাতে গেলে স্থানীয়রা বাধা দিলে কিবরিয়া মিজি বাহিনীর সশস্ত্র সদস্য জনি, জসিম দেওয়ান মিছির বেপারী ও মোহনপুর নৌপুলিশ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা তাদের ধাওয়া দিয়ে গুলি শুরু করে। এ সময় ট্রলার ও স্পিডবোটে থাকা রিফাত, রাসেল ও স্পিডবোট চালক আইয়ুব আলী গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে রিফাত ও রাসেলের মৃত্যু হয়। এছাড়া গুরুতর আহত আইয়ুব আলীকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
মুন্সীগঞ্জ জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাসুদ জানান, রাত ৮টার দিকেই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় তিনজন আসেন। এর মধ্যে দুইজন নিহত হয়েছেন আর আরেকজন গুলিবিদ্ধকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আহত ব্যক্তির বরাত দিয়ে মুন্সীগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, বালু উত্তোলন নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। গুলিবিদ্ধ তিনজনকে মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে আনা হয়েছে। রিফাত এবং রাসেল নামে দুজন মারা গেছেন।
আরটিভি/কেএইচ
মন্তব্য করুন