মোদির নামের সঙ্গে মিল রেখে ‘মোদিলাল’ নামে একটি গরু রেখে ভারতীয় আগ্রাসন প্রতিরোধে লংমার্চ করেছে ছাত্র-জনতা। পরে লংমার্চটি গিয়ে শেষ হয় চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলা পাইলিং মোড় এলাকায়। সেখানে গরু জবাই করে আয়োজন করা হয় ভূরিভোজের।
রোববার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দিনব্যাপী চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সরকারি মডেল হাই স্কুলে জেয়াফত ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
লংমার্চে প্রতিবাদ জানানো হয়, সীমান্তে হত্যা ও সব আগ্রাসনের। এ ছাড়াও ভারতবিরোধী নানা স্লোগান দেন অংশগ্রহণকারীরা। সীমান্তবাসীকে ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে উৎসাহ অনুপ্রেরণা জোগাতে ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত এই লংমার্চ আয়োজন করা হয়।
ফেলানীসহ সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে শহীদের আত্মার মাগফিরাত কামনায় ও ফারাক্কার নায্য পানির হিস্যার দাবিতে ঢাকা থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পর্যন্ত লংমার্চ হয়েছে। এ ছাড়াও দুটি গরু জবাই করে সামাজিক জেয়াফতের আয়োজন করে বাংলাদেশের জনগণ নামের একটি সংগঠন।
ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে নিহত বাংলাদেশিদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় সামাজিক জেয়াফত অনুষ্ঠানে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল করা হয়। এ সময় লংমার্চ ও সামাজিক জেয়াফতে অংশগ্রহণকারীরা ‘কাঁটাতারের ফেলানী আমরা তোমাকে ভুলিনি’; ‘ভারতীয় আগ্রাসন রুখে দাও জনগণ’; ‘সীমান্তে হত্যা বন্ধ করো, করতে হবে’; ‘বেশি করে গরু খান, আগ্রাসন রুখে দেন’; ‘ভারতের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান’ সহ নানান ধরনের স্লোগান দিতে থাকে।
লংমার্চ ও সামাজিক জেয়াফতের মাধ্যমে সীমান্তবাসী আরও সতর্ক ও সজাগ হবে বলে মনে করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম নেতা আল বাসরী সোহান বলেন, ‘গত জানুয়ারি মাসজুড়েই উত্তেজনা ছিল চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে। বারবার ভারতীয় আগ্রাসন হয়েছে এখানে৷ তবে এখানাকার জনগণ ও বিজিবি তা রুখে দিয়েছে। এমন অবস্থায় শিবগঞ্জে এই লংমার্চ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
এ সময় আমজনতা পার্টির সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, ‘বগুড়াতে হিন্দু রাজার নিপীড়নের বিরুদ্ধে গরু জবাই করা হয়েছিল। তখন থেকেই এই জেয়াফতের আয়োজন প্রচলিত ছিল। ভারত তার গরু রাজনীতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও মুসলমানকে নিপীড়িত করে। তার প্রতিবাদেই আমাদের এই জেয়াফত কার্যক্রম। আমাদের কার্যক্রম হিসেবে গরু জবাই হয়েছে, আলোচনা সভা হয়েছে এবং নাগরিকদের সঙ্গে কথা বলেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিবগঞ্জবাসীকে উৎসাহ অনুপ্রেরণা ও সাধুবাদ জানাতে এসেছি। সীমান্তে হত্যা ভারতের অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পণ্য বয়কট করা হলেও এখন ভিন্ন দিকে গেছে আন্দোলন। তাদের সহজে ছাড় দেয়া হবে না। সীমান্তে হত্যার ব্যাপারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কিছু কিছু ক্ষেত্রে প্রতিক্রিয়া দিচ্ছে। কিন্তু তা যথেষ্ট নয়। আরও কঠোর পদক্ষেপ নিতে হবে।’
আরটিভি/এমকে-টি