স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার পর থানায় আত্মসমর্পণ করেছে হত্যাকারী আবুল কালাম আজাদ।
রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাত ৮টার সময় বরগুনা পৌরসভার বাগানবাড়ি এলাকায় এমন ঘটনা ঘটে।
হত্যাকারী মো. আবুল কালাম (৩৫) বরগুনা পৌরসভার শহীদ স্মৃতি সড়ক বড়িয়ালপাড়া আব্দুল করিম আকনের ছেলে, তার স্ত্রী আসমা আক্তার পুতুল (৩০) বরগুনা চান্দখালীর বকুলতলী মো. ইউনুসের মেয়ে। পারিবারিকভাবে তাদের ২০১১ সালে বিয়ে হয়।
আবুল কালাম ও আসমা আক্তারের এক ছেলে এবং এক মেয়ে সন্তান রয়েছে।
তাদের ১২ বছরের মেয়ে রাকা মনি বলে, ‘আমার বাবা ও মায়ের মধ্যে হাতের রুলি বানানোর টাকা নিয়ে ঝামেলা চলছিলো। এ নিয়ে কয়েকবার তাদের মধ্যে মারামারি হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় আমাকে আমার বাবা ঘুমের ওষুধ খাইয়ে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছিল। ঘুম থেকে উঠে দেখি আমার ছোট ভাই কান্না করছে। পাশের রুমে গিয়ে দেখি, আমার মাকে গলাকেটে হত্যা করা হয়েছে। আমার মাকে আমার বাবা চাকু দিয়ে শরীরের অনেক জায়গায় কুপিয়েছে। আমার মাকে মেরে ফেলে রেখে আমার বাবা থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছে। আমি কিছু বুঝে ওঠার আগেই কিছুক্ষণ পরে পুলিশ গিয়ে আমার মাকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।’
এ বিষয়ে বরগুনা থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, ‘আবুল কালাম নামের একজন থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে এবং তিনি জানান তিনি তার স্ত্রীকে খুন করে এসেছেন। পরে আমরা ঘটনাস্থলে ফোর্স পাঠিয়ে ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করে বরগুনা সদর হাসপাতালে পাঠাই। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। তবে কি কারণে হত্যা করেছে, এ বিষয়ে এখনো সঠিক কোন তথ্য পাওয়া যায়নি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
আরটিভি/এমকে