শরীয়তপুরের মিনি চিড়িয়াখানা থেকে ৩১টি বন্য প্রাণী উদ্ধারের পর গাজীপুর সাফারি পার্কে রাখা হয়েছে। জেলার নড়িয়া উপজেলার কলুকাঠি এলাকায় মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম শিশু পার্ক ও পিকনিক স্পটে অবৈধভাবে এসব প্রাণী সংরক্ষণ করা হচ্ছিল।
মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
উদ্ধার প্রাণীগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১টি ভালুক, ১টি মিঠা পানির কুমির, ৩টি বার্মিজ অজগর, ৯টি শজারু, ২টি মেছো বিড়াল, ২টি বন বিড়াল, ২টি কালিম পাখি, ১০টি ঘুঘু, ২টি টিয়া ও ২টি বালিহাঁস। এর আগে রোববার বিকেলে বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর আওতায় অভিযান চালিয়ে ওইসব বন্য প্রাণী উদ্ধার করা হয়।
মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডমের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) নজরুল ইসলাম বলেন, আমাদের হরিণের লাইসেন্স এবং খামারের লাইসেন্স আছে। এ জন্যই মূলত আমরা একটি মিনি চিড়িয়াখানা দিয়েছিলাম। অন্য প্রাণী যেগুলো আছে সেগুলো বিভিন্ন সময় ঢাকা চিড়িয়াখানা থেকেই সংগ্রহ করেছি। তখন কেউ আমাদেরকে বলে নাই এগুলোর লাইসেন্স করতে হবে। এখন আমাদের কাছে যা আছে, তা বন্য প্রাণী অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করেছি।
বন্য প্রাণী ও জীববৈচিত্র সংরক্ষণ কর্মকর্তা রথীন্দ কুমার বিশ্বাস জানান, সোমবার সন্ধ্যায় গাজীপুর সাফারি পার্কে বিশেষ ব্যবস্থায় প্রাণীগুলো নিয়ে আসেন বন্য প্রাণী অপরাধ দমন ইউনিটের কর্মীরা। তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত দেশীয় ১০ প্রজাতির ৩১টি অবৈধ প্রাণীগুলোকে যথাযথ কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। পরে কিছু প্রাণ-প্রকৃতিতে অবমুক্ত করা হবে। মডার্ন ফ্যান্টাসি কিংডম শিশু পার্ক ও পিকনিক স্পট কর্তৃপক্ষ স্বীকার করেছে আইন না জেনে প্রাণীগুলোকে তারা আটকে রেখেছিল। তাদের মিনি চিড়িয়াখানায় কোনো ধরনের বন্য প্রাণী প্রদর্শন করা যাবে না মর্মে আমরা মুচলেকা নেওয়া হয়েছে। সারা বাংলাদেশে আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে।
গাজীপুর সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাণীগুলোকে পার্কের নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বন্য প্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন, ২০১২-এর ৬ এবং ৩৪ (খ) ধারায় বন্য প্রাণী অবৈধভাবে দখলে রাখা, শিকার, ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। একই আইনের ৩২ ধারায় এসব প্রাণী জব্দ করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
আরটিভি/এএএ