ঢাকারোববার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২

৬ বছরের শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা, মরদেহ মিলল পুকুরে

মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ 

শুক্রবার, ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ০৩:৫২ পিএম


loading/img
ছবি: সংগৃহীত

মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে শিশু শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে বাড়ির পাশের পুকুরে মরদেহ ফেলে দেয় এক যুবক। ওই শিশুর নাম ফাতেমা আক্তারকে (৬)। ঘাতক সাব্বির হত্যার দায় স্বীকার করে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে সিরাজদীখান থানা পুলিশ রশুনিয়া ইউনিয়নের রশুনিয়া গ্রামের ব্যাঙ্গ দিঘী নামে পুকুরের কচুরিপানার নীচ থেকে ফাতেমা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করে। 

বিজ্ঞাপন

শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিরাজদিখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন।

শিশু ফাতেমা উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব রশুনিয়া গ্রামের কুয়েত প্রবাসী শহিদুল ইসলামের মেয়ে এবং রশুনিয়া মাহমুদিয়া নূরানীয়া মাদরাসার প্রথম শ্রেণীর ছাত্রী।

বিজ্ঞাপন

জানা যায়, মঙ্গলবার উপজেলার রশুনিয়া ইউনিয়নের পূর্ব রশুনিয়া গ্রামের বাড়ির পাশে ওয়াজ মাহফিলে এসে ফাতেমা আক্তার নামে (৬) বছরের ওই শিশু কন্যা নিখোঁজ হয়। সেদিন রাতে রশুনিয়া গ্রামের পূর্বপাড়ায় ওয়াজ মাহফিলকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন ধরনের অস্থায়ী দোকানসহ আইসক্রিম বিক্রি করার জন্য বসে। ওই ইউনিয়নের উত্তর তাজপুর গ্রামের নাহিদ খানের ছেলে সাব্বির খান (২৫) ফ্রিতে শিশু ফাতেমাকে আইসক্রিম খাওয়ান। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয়রা বুধবার দুপুরে সন্দেহজনকভাবে আইসক্রিম বিক্রেতা সাব্বির খানকে আটক করে সিরাজদীখান থানায় সোপর্দ করে। 

এ ঘটনায় বুধবার ফাতেমার মা বিলকিস বেগম বাদী হয়ে সিরাজদীখান থানায় মামলা করেন। মামলায় রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ঘাতক সাব্বির ধর্ষণ ও হত্যার কথা স্বীকার করেন। 

এ বিষয়ে সিরাজদিখান থানার ওসি শাহেদ আল মামুন বলেন, শিশু ফাতেমাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে মরদেহ ফেলে দেয় পাশের একটি ডোবায়। ঘাতক সাব্বিরের তথ্যমতে, বৃহস্পতিবার রাত দেড়টার দিকে তাজপুর গ্রামের ব্যঙ্গ দিঘী নামে পুকুর থেকে ফাতেমার মরদেহ উদ্ধার করে মুন্সীগঞ্জ মর্গে পাঠানো হয়।  

বিজ্ঞাপন

তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার রাতেই ফাতেমাকে হত্যা করে। নিহত শিশুর মা বিলকিস বেগম বুধবার বাদী হয়ে আইসক্রিম বিক্রেতা ঘাতক সাব্বিরকে আসামি করে মামলা করেন। সাব্বিরকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ড চাইলে আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করে। রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করলে শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায় স্বীকার করে লোমহর্ষক ঘটনার বর্ননা দেয়।

বিজ্ঞাপন

এ দিকে খবরটি ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ জনতা শুক্রবার সকালে অভিযুক্ত আসামির বাড়িঘরে ভাঙচুর করে আসবাবপত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়।

আরটিভি/এমকে

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন
Advertisement
Advertisement

Loading...


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |