ঢাকামঙ্গলবার, ২৫ মার্চ ২০২৫, ১১ চৈত্র ১৪৩১

৫ আগস্টের আগে জমি জবরদখল, পালিয়ে গিয়েও মামলা দিয়ে হয়রানি

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ 

শনিবার, ০১ মার্চ ২০২৫ , ০৮:৫১ পিএম


loading/img
ছবি: আরটিভি

বিগত ৫ আগস্টের আগে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার ও সাবেক গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহম্মেদের প্রভাব খাটিয়ে ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলার মইশাকান্দা বাজারে ২১ শতক জমি ও মার্কেট জবর দখল করেছিল স্থানীয় আ.লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম। তবে দেশের পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে আত্মগোপনে চলে যায় এই আ.লীগ নেতা। কিন্তু পালিয়ে গিয়েও প্রকৃত জমির মালিক মোসলেম উদ্দিনের পরিবারের ৪৪ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ভুক্তভোগীসহ সচেতন মহলে মিশ্র-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়েছে।

বিজ্ঞাপন

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার নলচাপড়াকান্দা গ্রামের মইশাকান্দা বাজারে ২০০০ সাল থেকে ক্রয়সূত্রে ২১ শতক জমিতে মার্কেট নির্মাণ করে ভোগ দখল করে আসছিলেন স্থানীয় বাসিন্দা মোসলেম উদ্দিন। কিন্তু দীর্ঘ ২৫ বছর পর গত বছরের ২৫ জুলাই অতর্কিত হামলা ভাঙচুর করে এই জমি ও মার্কেট জবরদখল করে নেয় স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত আ’লীগ নেতা আশরাফুল ইসলাম। তবে গত ৫ আগস্ট আ’লীগ সরকার পতনের পর জবরদখল করা জমি ও মার্কেট পতিত ফেলে আশরাফুল আত্মগোপনে চলে যায়, বলে নিশ্চিত করেন মোসলেম উদ্দিন।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর আমার জমি ও মার্কেট জবরদখল-কারি আশরাফুল পালিয়ে গিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর আমার পরিবারের ৪৪ জন্য সদস্যকে আসামি করে আদালতে একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে আ’লীগ নেতা আশরাফুল। বর্তমানে ওই মামলাটি তদন্তধীন রয়েছে। আমি এই ঘটনার তদন্তপূর্বক ন্যায় বিচার দাবি করছি।

বিজ্ঞাপন

খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলার ৯ নম্বর বালিয়া ইউনিয়ন কৃষকদলের সভাপতি মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, ক্রয়সূত্রে জমিটি দীর্ঘদিন যাবত মোসলেহ উদ্দিন দোকান নির্মাণ করে ভোগদখল করে আসছিল। কিন্তু কাগজপত্রে একটু ঝামেলার সুযোগে আ.লীগ নেতা আশরাফুল জমিটি জবরদখল করেছিল। সে বিগত সময়ে দলীয় প্রভাব বিস্তার করে বহু অপকর্ম করেছে। তবে সরকার পতনের পর থেকে সে গাঁ ঢাকা দিয়েছে।  

বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আল আমিন জানান, জমিটি মোসলেম উদ্দিনের বলেই আমরা জানি। তবে কিছুদিন আগে এই জমিটি আশরাফুল তার নিজের দাবি করায় ঝামেলা সৃষ্টি হয়। 

একই ধরনের মন্তব্য করে ইউপি চেয়ারম্যান আজাহারুল মোজাহীদ সরকার বলেন, মোসলেম এই জমিটি কিনে মার্কেট করেছিল। তবে এই দাগের রেকর্ডে একটু ঝামেলা থাকায় আশরাফুল ও মোসলেমের মধ্যে দ্বন্দ্ব হয়েছিল। এটা নিয়ে একাধিক শালিসও হয়েছে।  

বিজ্ঞাপন

তবে অভিযোগ বিষয়ে জানতে একাধিকবার যোগাযোগ করেও আ’লীগ নেতা মো. আশরাফুল ইসলামের ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।  

এ বিষয়ে ফুলপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল হাদি বলেন, জমি সংক্রান্ত বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। তবে ওই আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে আরও কোন অভিযোগ আছে কি না, তা আমার জানা নেই। খোঁজ নিতে হবে।

আরটিভি/এএএ

আরটিভি খবর পেতে গুগল নিউজ চ্যানেল ফলো করুন

বিজ্ঞাপন


© স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত ২০১৬-২০২৫ | RTV Online |